সুস্পষ্টভাবে লিখিয়াছেন—“পৃথিবী স্বীয় মেরুদণ্ডের চারিদিকে আবর্ত্তন করিতেছে।” চন্দ্র ও সূর্য্যের গ্রহণের যথার্থ কারণও তিনি বিবৃত করিয়াছিলেন।
আর্য্যভট্ট লিখিয়াছেন “নদীপথে আমরা যখন নৌকাযোগে চলিতে থাকি তখন যেরূপ দেখি যে, তীরস্থ বৃক্ষগুলি বিপরীত দিকে চলিতেছে আকাশের নক্ষত্রগুলির গতি ঐরূপ।”
আর্য্যভট্ট চন্দ্র ও সূর্য্যে গ্রহণের যে কারণ নির্দ্দেশ করিয়াছিলেন, সেই যুক্তি সুধী-সমাজ গ্রহণ করিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয়। রঘুবংশ কাব্যের চতুর্দ্দশ অধ্যায়ের ৪০এর শ্লোকে কালিদাস এক উপমামধ্যে বলিয়াছেন—“যাহা বস্তুতঃ পৃথিবীর ছায়া লোকে তাহাকেই অকলঙ্ক চন্দ্রের কলঙ্ক জ্ঞান করিয়া থাকে।” আর্য্যভট্টের গোলপাদে মেষবৃষাদি দ্বাদশ রাশিচক্রের নাম রহিয়াছে। তিনি ঐ গ্রন্থে পৃথিবীর পরিধি ৩৩০০ যোজন নির্দ্দেশ করিয়াছেন। এই গণনাও যথার্থ পরিমাপের কাছাকাছি, সতরাং ইহা উপেক্ষিত হইতে পারে না।
মহামতি অশোকের রাজধানী পাটলীপুত্র নগরে আর্য্যভট্ট জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। সুতরাং খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর সাহিত্যবিজ্ঞানের আলোচনা কেবল বিক্রমাদিত্যের রাজধানী উজ্জয়িনী নগরে আবদ্ধ ছিল না।
বরাহমিহির অবন্তীনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মহারাজ বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন সভার অন্যতম রত্ন ছিলেন।
ব্রহ্মগুপ্তের ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত সপ্তম শতাব্দীতে (৬২৮ অব্দে) রচিত।
চিকিৎসাশাস্ত্র
ইতিহাস পাঠকমাত্রেই অবগত আছেন যে, সম্রাট্ অশোক তাঁহার সুবিস্তৃত রাজ্যের সর্ব্বাংশে মনুষ্য ও পশুর চিকিৎসার্থ দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করিয়াছিলেন। সুতরাং বৌদ্ধযুগে ভারতে