সমূহের নৃপতিদের উল্লেখ রহিয়াছে। রাজ্যের উল্লেখ নাই । অগ্নু, পাণ্ড্য, কেরল প্রভৃতি জাতক আখ্যানে কোন বিশিষ্ট শক্তিশালী রাষ্ট্রের প্রাধান্য কীৰ্ত্তিত হয় নাই, কিন্তু, বহ, জাতকে তক্ষশিলা বিদ্যায়তনের বিশিষ্টতা বর্ণিত হইয়াছে। বিদ্যার্থী ব্রাহ্মণ যুবক ও রাজপ গণ বিদ্যাশিক্ষার জন্য গান্ধার রাজ্যের রাজধানী তক্ষশিলায় গমন করিতেন। খৃষ্ট-পর্ব্ব চতুর্থ ও পঞ্চম শতকে এই স্থান ব্রাহ্মণ্য শাস্ত্রালোচনার প্রধান কেন্দ্র ছিল ইহা একরূপ স্পনিশ্চিত । জাতক-আখ্যানে যে সময়ের বর্ণনা করা হইয়াছে তখন ভারতবর্ষ অনেকগুলি খণ্ড-ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত ছিল। “উলক” জাতকে উক্ত হইয়াছে, সৃষ্টির প্রথম কল্পে মাননুষেরা সমবেত হইয়া এক সাশ্রী, সজ্জ্বলক্ষণযুক্ত, পরম সুন্দর পুরুষকে রাজপদে অভিষিক্ত করিয়াছিলেন। অতি প্রাচীনকালে এতদ্দেশে রাজপদ বংশানগ ছিল না। যিনি যোগ্য বিবেচিত হইতেন তিনিই দল বা সম্প্রদায়ের নেতা বৃত হইতেন। তবে কালক্রমে রাজপদ বংশানগ হইয়াছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। তব্দ অনেক স্থলে রাজার অভিষেক সময়ে প্রজা ও অমাত্যগণের মত গহণ করা হইত। “পাদাঞ্জলি” জাতকে দেখা যায় যে, বিজ্ঞ মন্ত্রীদের বিচারে বারাণসীরাজ ব্রহ্মদত্তের জড়মতি ও আলস্যপরতন্ত্র পত্র পাদাঞ্জলি রাজপদের অযোগ্য বিবেচিত হইলেন এবং ঐ স্থলে রাজার ধমথিনিশাসক অমাত্য বোধিসত্তত্ত্ব রাজপদ প্রাপ্ত হন। “গ্রামণী-চণ্ড” জাতকে উক্ত হইয়াছে যে, বারাণসীরা জনসন্ধের মৃত্যু হইলে তাঁহার অল্পবয়স্ক পত্র আদর্শ কুমারকে উত্তমরূপে পরীক্ষা করা হইয়াছিল। এইরূপ আখ্যান হইতে ইহা বুঝা যায় যে, প্রাচীন ভারতে, সর্ব্বত্র না হইলেও স্থানে স্থানে রাজার অভিষেকে লোকমত ও রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মতি গ্রহণ করা হইত। লোকভয় ও ধর্মভয়ই সৰ্ব্বকালে শক্তিমান ব্যক্তিদিগকে উচ্ছৃঙ্খলতা হইতে রক্ষা করিয়া থাকে। প্রাচীন ভারতের আদর্শ
পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৭৮
বৌদ্ধ-ভারত