অস্টম অধ্যায় ԳՏ ভূপতিগণ দান, শীল, পরিত্যাগ, অক্রোধ, অবিহিংসা, ক্ষান্তি, আজব, মন্দব, তপঃ, অবিরোধন এই দশ প্রকার গণ-ভাষিত হইতেন। যে সকল রাজা এইরুপ সদগণ-সম্পন্ন ছিলেন তাঁহারা কদাচ প্রজাপীড়ন করিতেন না। যাহারা উত্তরপ গণ-সম্পন্ন নহেন, এমন রাজারাও আপনাদিগকে প্রজা সাধারণের সব্বময় প্রভু বলিয়া মনে করিতেন না। “তৈলপার” জাতকে বণিত হইয়াছে, তক্ষশিলার এক রাজা কোন রপবতী যক্ষিণীর রপে মোহিত হইয়া তাহাকে বিবাহ করেন। যক্ষিণী এই রাজাকে বিনাশ করিয়াছিল। কিন্ত সেই মোহাবিদ্ট রাজাও যক্ষিণশীর অন্যায় অনুরোধের প্রতিবাদ করিয়া বলিয়াছিলেন—“ভদ্রে, সমস্ত রাজ্যের উপর আমার নিজেরই কোন প্রভুত্ব নাই। আমি সমস্ত প্রজার প্রভু নহি। যাহারা রাজদ্রোহী কিংবা দরাচার কেবল তাহাদিগেরই দণ্ড বিধান করিতে পারি। আমি যখন সমস্ত প্রজার প্রভু নহি তখন তোমাকে তাহদের আধিপত্য কিরাপে দিব ?” তখন দেশে স্থানে স্থানে অত্যাচারী রাজাও ছিল। “মহাপিঙ্গল” জাতকে এইরুপ এক উৎপীড়ক রাজার বিবরণ বণিত হইয়াছে। লোকে যেমন ইক্ষ্যযন্ত্রে ইক্ষ পেষণ করে কাশীরাজ মহাপিঙ্গল সেইরাপ নানা প্রকার উৎপীড়নে প্রজাদিগকে পেষণ করিতেন। রাজারা যখন এইরুপ অত্যাচারী হইতেন তখন সময়ে সময়ে প্রজারা বিদ্রোহী হইয়া রাজাকে বধ করিয়া নতন রাজা নির্বাচন করিত। “সত্যংকিল” জাতকে এইরপ এক অত্যাচারী রাজার নিধনের বিবরণ আছে। বারাণসী নগর-বাসীরা উৎপীড়ক রাজাকে বধ করিয়া বোধিসত্তকে রাজপদে বরণ করিয়াছিল । ভগবান বন্ধের আবিভাব কালে কিংবা তাঁহার আবিভবের পর্বে ভারতবষের সকল স্থানে রাজতন্ত্র শাসনপ্রণালী প্রচলিত ছিল এইরুপ মনে করিবার হেতু নাই। গৌতম ব্যুদ্ধের পিতা শদ্ধোদন কপিলাবাস্তরে রাজা ছিলেন এইরূপ উক্ত হইয়া থাকে। সম্ভবতঃ তিনি শাক্যবংশীয়দিগের মধ্যে প্রধান পর্ষ ছিলেন বলিয়া তাহদের
পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।