পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bfO বৌদ্ধ-ভারত অন্যতম দলপতির কায্য করতেন। শদ্ধোদন ব্যতীত আরও বহন ব্যক্তি “রাজা” বলিয়া উক্ত হইতেন । “একপণ” জাতকের বক্তমান বস্তকথায় অথাৎ ভূমিকা অংশে উক্ত হইয়াছে—“বৈশালী নগরের সমদ্ধির সীমা ছিল না। এই নগর এক এক ক্লোশ অন্তর তিনটি প্রাকার দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল । সাত হাজার সাতশত সাতজন রাজা সব্বদা ইহার শাসন কাষ্য নিববাহ কাঁরতেন। উপরাজ, সেনাপতি ও ভাডাগারিকের সংখ্যাও ঐ প্রকার ছিল।” সম্ভবতঃ বৈশালীর সমস্ত ক্ষত্রিয় সমবেত হইয়া রাজকায নিববাহ করতেন, তাঁহাদের প্রত্যেকেরই “রাজা” উপাধি ছিল । জাতকের বত্তমান বস্তকথায় বদদ্ধের প্রাদাভাব-কালের বহন তথ্য রহিয়াছে। তখন আযf্যাবত্তে বারাণসী, কৌশম্বী, সাকেত, শ্রাবস্তী, রাজগহ ও চম্পা এই ছয়টি বিশেষ প্রসিদ্ধ নগর ছিল। রায় সাহেব শ্রীয়েত ঈশানচন্দ্র ঘোষ মহাশয় তৎপ্রণীত জাতকের দ্বিতীয় খণ্ডে “জাতকে পরাতত্তর” শীর্ষক প্রবন্ধে লিখিয়াছেন— “রাজকর সম্বন্ধে জাতকে কোন নিদিদটি ব্যবস্হার উল্লেখ নাই। কোন কোন জাতকে দেখা যায় রাজা ইচ্ছামত কর বদ্ধি করতেন। লোকে যে সময়বিশেষে নগদ টাকা না দিয়া উৎপন্ন শস্যের একটা নিন্দিভট অংশ রাজকরুবরাপ দিত “কুরধম” জাতকে তাহার উল্লেখ আছে। যে কমচারী রাজার পক্ষ হইতে শস্য মাপিয়া লইতেন তাঁহার উপাধি ছিল “দোণ-মাপক” । “জাতকে পরোহিত, অর্থ ধমনি,শাসক, সবাথচিন্তক, সাবকৃত্যকার, বিনিশ্চয়ামাতা, অর্ঘ্যকার, সেনাপতি, ভাডাগারিক, ছত্রগ্রহ, অসিগ্রহ, রাজক, শ্রেষ্ঠী, দোণমাতা, হিরণ্যক, সারথি, দৌবারিক, হস্তিমঙ্গলকারক, গজাচাষ", গ্রামভোজক, বলিপ্রতিগ্রাহক (শুক্লসংগ্রাহক ), নগরগুপ্তিক, রাজবৈদ্য প্রভৃতি রাজকর্মচারীর নাম আছে। এতন্মধ্যে গ্রামভোজক, বলিপ্রতিগ্রাহক, রাজবৈদ্য, নগরগুপ্তিক ব্যতীত অপর সকলেই অমাত্য নামে অভিহিত হইতেন।” “তখন পরোহিতেরা ব্রাহ্মণ ছিলেন। সাধারণতঃ অর্থ