ԵՏ বৌদ্ধ-ভারত দ্বারা গঠিত বিচারকদল—বত্তমান জরীর স্থানীয় ), সেনাপতি, উপরাজ এবং রাজা এই সমস্ত উদ্ধতন বিচারক ছিলেন। অভিযন্ত ব্যক্তি অপরাধী ধাৰ্য্য হইলে রাজারা তাহাকে প্রবেণি পতেক অথাৎ নজীরের বহির ব্যবস্থামতে দন্ড দিতেন। রাজা ভিন্ন বোধ হয় আর কেহ প্রাণদন্ড দিতে পারিতেন না। - রাজাকে প্রায় সকল দেশেই ঈশ্বরের অংশ বলিয়া মনে করা হইত। রাজার এইরুপ সমান জাতকে নানাস্থানে বণিত হইয়াছে। “গ্রামণীচণ্ড” জাতকে অপরাধী গেরেপ্তারের যে প্রণালী দেখিতে পাওয়া যায় তাহা অতি অদ্ভুত সন্দেহ নাই। লোকে একটা ঢিল বা একখানা খাপরা তুলিয়া অপরাধীকে বলিল—“ঐ দেখ রাজদত, এস তোমাকে রাজার নিকট যাইতে হইবে।” অপরাধী তৎক্ষণাৎ সেই লোকের সঙ্গে সঙ্গে রাজ সমীপে গমন করত। বৌদ্ধযুগে সব্বর রাজাকে ঠিক দেবতার মত মনে করা হইত ইহা সত্য নহে । মহাবস্ত অবদানে মনুষ্য ও রাজপদ সৃষ্টির তথ্য বর্ণিত আছে। মনুষ্য সন্টির পরে যখন ছোট বড় নানা বিষয় লইয়া মানুষের মধ্যে বিরোধ ঘটিতেছিল তখন সকলে মিলিয়া পরামশ করিতে লাগিল— “আইস আমরা একজন বলবান, বৃদ্ধিমান, সকলের মন যোগাইয়া চলে এমন লোককে আমাদের ক্ষেত্র রাখিবার জন্য নিযুক্ত করি । তাহাকে আমরা সকলে ফসলের অংশ দিব। সে অপরাধের জন্য দন্ড দিবে, ভাল লোককে রক্ষা করিবে, আর আমাদের ভাগমত ফসল দেওয়াইয়া দিবে। তাহারা একজন লোক বাছিয়া লইল । তাহাকে তাহারা ফসলের ছয় ভাগের এক ভাগ দিতে রাজি হইল। সকলের সম্মতিক্ৰমে সে রাজা হইল, এই জন্য তাহার নাম হইল “মহাসমত” । রাজা যে ঈশ্বরের অংশ—এই মতটি অধিক দেশে চলিত। রাজা যে প্রজার চাকর একথা অনেকেই বলতে সাহস করে না। কিন্তু বৌদ্ধদের মধ্যে এই মত অনেকদিন চলিয়াছিল। চন্দ্ৰকীৰ্ত্তি খন্টের পঞ্চম শতকে বলিয়াছেন ৪— "গণদাসস্য তে গবঃ ষড়ভাগেন ভূতস্য কঃ”
পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।