অস্টম অধ্যায় b○ “তুমি ত লোকের দাস, ফসলের ছয় ভাগের এক ভাগ মাহিনাই তোমার জীবিকা। তুমি আবার গমের কর কি ?”* কেবল রাষ্ট্রনীতি নহে, ধমনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, ব্যবসায়বাণিজ্য, শিল্প প্রভৃতি বহবিষয়ক কৌতুহলপণ তথ্যে জাতক পণ রহিয়াছে। “ভীমসেন”, “গণ” ও “মদীয়ক” জাতকে উৎকৃষ্ট বস্ত্রের উল্লেখ রহিয়াছে। গণজাতকে উল্লেখ আছে যে, কোশলরাজ নারীদিগকে যে শাড়ী দিয়াছিলেন তাহা এমন উত্তম যে, এক এক খানির মল্য সহস্র মন্দ্রা । “শীলবান নাগ” ও “কাষায়” জাতকে গজদন্ত শিলেপর ; “অসদশ” ও “শরভঙ্গ” জাতকে শঙ্গ নিমিত দ্রব্যের ; “সচী” জাতকে লৌহ শিল্পের ; “কুশ” জাতকে সবণনিমিত দ্রব্যের ; “অনীলচিত্ত” জাতকে কাঠশিল্পের এবং “বভ্র" জাতকে প্রস্তরশিল্পের বণনা রহিয়াছে । জাতক পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, অপর সকল দেশের মত প্রাচীন ভারতে দাসত্ব-প্রথা প্রচলিত ছিল। ক্রীতদাস এবং গভীদাস (Born Slaves ) ব্যতীত আরও দই শ্রেণীর দাস এই দেশে ছিল। কেহ কেহ অন্নবস্ত্রের জন্য সমদ্ধ ব্যক্তির দাসত্ব স্বীকার করিত ; কেহ কেহ দস্য ভয়ে ভীত হইয়া আত্মরক্ষার জন্য শক্তিমানের দাস হইত। “শক্তভন্না”, “বিশ্বম্ভর” প্রভৃতি জাতকে দাসত্ববিষয়ক নানা কথা আলোচিত হইয়াছে। তখন দাসের মল্য একশত কাষাপণের অধিক ছিল না।
- মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাঙ্গী মহাশয়ের লিখিত "নারায়ণ" পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ হইতে ।