পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায় b'న দেখাইয়া লইয়া যাইতেন। নক্ষত্র দেখিয়া সমদ্রমধ্যে যেমন করিয়া পথ নিণয় করা হয়, এই ক্ষেত্রেও সেইরাপ করা হইত। বণিকেরা যখন দীঘ বনপথ অতিক্ৰম করিত তখনও তাহারা রক্ষী নিযুক্ত করিয়া আত্মরক্ষা করিত। অর্ণৰcপণত ও সমুদ্র-বাণিজ্য সপেপারক, সমুদ্রবাণিজ্য, বাবের, মহাজন প্রভৃতি বহন জাতকে সমুদ্র-বাণিজ্যের উল্লেখ আছে। পালি ও সংস্কৃত সাহিত্যগ্রন্হে যে সকল সামুদ্রিক জলযানের বণনা পাওয়া যায় সেইগুলি খাব বহৎ আয়তনের ছিল বলিয়া মনে হয়। যে অণবপোত আরোহণ করিয়া যবেরাজ সিংহবাহ সিংহলদ্বীপে গমন করিয়াছিলেন সেই পোতে যবেরাজ ব্যতীত পাঁচশত বণিকও ছিল। যে জলযানে পাল্ড্য রাজকুমারী সিংহলে গমন করিয়াছিলেন সেই যানে আঠার শত রাজকমচারী, প’চাত্তর জন ভৃত্য, বহুসংখ্যক ক্রীতদাস এবং শত শত কুমারী কন্যা ছিলেন। ভারতীয়দের নৌ-বাণিজ্যের দক্ষতা প্রতিপন্ন করিবার জন্য ব্রাহ্মণ্য ও বৌদ্ধ সাহিত্য হইতে বহুবচন উদ্ধত করা যাইতে পারে। বাহুল্যভয়ে সেগুলির উল্লেখ করা হইল না। কলিকাতানগরস্থ সংস্কৃত কলেজের পন্তকালয়ে যুক্তিকল্পতরু' নামে একখানি হস্তলিপি গ্রন্হ পাওয়া গিয়াছে। ঐ গ্রন্হে জল-যান-নিমণি-শিল্প বিস্তারিতভাবে আলোচিত হইয়াছে। জলযানের আকৃতিগত পাথক্যের হিসাবে “যক্তি-কল্পতরু” যানগলিকে মোটামটি “সামান্য” ও “বিশেষ” এই দই শ্রেণীতে ভাগ করিয়াছেন। “সামান্য” যানগুলি সাধারণতঃ নদীগভে বিচরণ করিত। “বিশেষ” যানগুলি সমুদ্রযাত্রার জন্য ব্যবহৃত হইত। সামান্য যানগুলি দশ প্রকারের যথা—ক্ষদা, মধ্যমা, ভীমা, চপলা, পটলা, ভয়া, দীঘী, পত্রপটা, গভীরা ও মহরা। এই যানগুলির মধ্যে