సెO বৌদ্ধ-ভারउ ক্ষুদ্রা দৈঘ্যে, প্রস্থে ও উচচতায় সব্বাপেক্ষা ক্ষুদ্র। ইহার দৈঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা যথাক্ৰমে ২১, ৫:, ৫ঃ হস্ত। পরবত্তী যানগুলির আয়তন ক্ৰমশঃ অধিক। মনহরা সব্বাপেক্ষা বহৎ । এই শ্রেণীর যানের দৈর্ঘ্য ২১o, প্রস্থ ১০৫, উচ্চতা ১০৫ হস্ত। দশপ্রকার যানের মধ্যে ভীমা, ভয়া ও গভরাকে অশভপ্রদা’ বলা হইয়াছে। বোধ করি নদীবক্ষে যাতায়াতের পক্ষে এই যানগুলি অনকেল ছিল না। বিশেষ শ্রেণীর যানগুলিকে প্রধানতঃ দীঘ ও উন্নতা’ এই দইভাগে বিভক্ত করা হইয়াছে। সম্ভবতঃ দীঘf দৈঘ্যের এবং উন্নতা’ উচচতার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল । দীঘজিাতীয় দশ প্রকার জলযানের উল্লেখ আছে যথা—দীঘিকা, তরণী, লীলা, মত্বরা, গামিনী, তরি, জঙ্ঘলা, প্লাবিনী, ধারিণী ও বেগিনী। বেগিনী সব্বাপেক্ষা বহৎ । ইহার দৈঘ্য ২৫২, প্রস্থ ৩১ই, উচচতা ২৫ই হাত । দীঘজিাতীয়া যানের মধ্যে লীলা, গামিনী ও প্লাবিনী 'অশািভপ্রদা’ বলিয়া কথিত হইয়াছে। ‘উন্নতা জাতীয় পাঁচ প্রকার জলযানের উল্লেখ আছে। উদ্ধা, অনদ্ধো, সবণীমখী, গভিণী ও মহরা। উক্ত পাঁচ প্রকার যানের মধ্যে অনদ্ধেরা, গভিণী ও মহরাকে নিন্দিতা’ এবং উদ্ধাকে শাভদা' বলা হইয়াছে। যক্তিকাপতর গ্রন্হে জলযানের চিত্রণ সম্বন্ধে বহন কথা আছে। যানের কক্ষগুলি কনক, রজত ও তাম এই ধাতুত্রয় বা ইহাদের মিশ্রদ্রব্য দ্বারা সমসজিত করা হইত। চতুঃশঙ্গ বা চারি মাস্তলের যান শাদাবণে, ত্রিশঙ্গ যান রক্তবণে, দ্বিশাঙ্গ যান পীতবণে এবং একশ্যঙ্গ যান নীলবণে চিত্রিত করিবার নিয়ম ছিল। যানের মাখ বা গলই সিংহ, মহিষ, নাগ, হস্তী, ব্যাঘ্ৰ, পক্ষী, ভেক বা মানুষের মুখের মত করিয়া নিমাণ করা হইত। যানের মুখ সবণ বা মত্তাহারে সসজিত করা ভদ্র বলিয়া বিবেচিত হইত। যে যানগুলির কুর্টরী বা কক্ষ খাব বহৎ সেইগুলিকে ‘সাবমন্দিরা’ বলা হইত। এই শ্রেণীর যান রাজধন, অশব ও রমণী বহনের প্রশস্ত
পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।