পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায় ৯১ যান বলিয়া বিবেচিত হইত। আর এক শ্রেণীর যানকে ‘মধ্যমন্দিরা’ নাম দেওয়া হইয়াছে। এই যানগুলি বৰ্ষা ঋতুতে রাজাদের বিলাসযাত্রার জন্য ব্যবহৃত হইত। যে যানগুলির কুর্টরী গলইর দিকে থাকিত সেইগুলির নাম ছিল “অগ্রমন্দিরা”। এই যানগুলি দরপ্রবাস যাত্রায় এবং রণে উপযোগী বলিয়া বিবেচিত হইত। অতি প্রাচীনকালে ভারতীয় সভ্যতা যবদ্বীপে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ভারতের বিবিধ শিলপ তথায় উন্নতি লাভ করিয়াছিল। তথাকার বোরোবদর মন্দিরগাত্রে প্রস্তর-খোদিত জাহাজ ও নৌ-যাত্রীর ছবি দেখা যায়। খন্টের প্রথম শতকে ভারতীয়েরা কেমন করিয়া যবদ্বীপে উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিলেন উক্ত চিত্র তাহাই স্মরণ করাইয়া দেয়। খন্টের পঞ্চম শতকে পরিব্রাজক ফাহিয়েন এক্যানে সিংহল হইতে তিনমাসে যবদ্বীপে গমন করিয়াছিলেন । খৃষ্টীয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতাব্দীর কোন কোন অন্মুমদার উপরে দ্বি-শঙ্গ পোত অঙ্কিত আছে। ঐ পোতগুলি বহদাকারের ছিল বলিয়া অনমিত হয়। ভিনসেন্ট স্মিথ ঐ মাদ্রাগুলির সম্বন্ধে আলোচনা করিয়া বলিয়াছেন—“কতকগুলি মাদ্রার উপর পোত অঙ্কিত রহিয়াছে, ইহা হইতে মনে হয় জ্ঞানশ্রীর (১৮৪–২১৩ খৃস্টাব্দ ) প্রভুত্ব যেমন স্থলভাগে তেমন জলভাগেও পরিব্যাপ্ত হইয়াছিল। সিওয়েল সাহেবের মতে ঐ সময়ে জল স্থল উভয় পথেই পশ্চিম এশিয়া, গ্রীস, রোম, মিশর, চীন ও অপর বহর প্রাচ্য রাজ্যের বাণিজ্যসম্মবন্ধ স্থাপিত হইয়াছিল। ইহা একরপ নিঃসন্দেহ যে ভারতীয় বণিকগণ সেই অতীত কালে তাহাদের পণ্যপণে জলযান লইয়া দ্বীপান্তরে গমন করিত। জলযানগুলি নদী বা সমুদ্রতীরবত্তী বন্দর (পট্রন ) হইতে যাত্রা করিত। বারাণসী, চম্পা, ভূগকেচ্ছ প্রভৃতি পট্টন হইতে বাণিজ্যপোত বিদেশে যাত্রা করিত। জলযানগুলি চালনা করিবার জন্য নিয়ামক ( pilot) নিযুক্ত হইল। নিয়ামকগণ দিবা ভাগে সায্য এবং রাত্রিকালে নক্ষত্র দেখিয়া দিক নিণয় করত। কদাচ প্রতিকল