কেহই সহায় নাই, নারায়ণ তাহার অধিক সহায়। হে প্রভু, তোমার নামে কলঙ্ক না হয় যেন! এ বিশ্বাস আমার ভাঙিও না!”
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।
মন্ত্রী কহিলেন “মহারাজ, কাজটা কি ভাল হইবে?”
প্রতাপাদিত্য জিজ্ঞাসা করিলেন “কোন্ কাজটা?”
মন্ত্রী কহিলেন “কাল যাহা আদেশ করিয়াছিলেন।”
প্রতাপাদিত্য বিরক্ত হইয়া কহিলেন “কাল কি আদেশ করিয়াছিলাম?”
মন্ত্রী কহিলেন “আপনার পিতৃব্য সম্বন্ধে।”
প্রতাপাদিত্য। আরো বিরক্ত হইয়া কহিলেন “আমার পিতৃব্য সম্বন্ধে কি?”
মন্ত্রী কহিলেন “মহারাজ আদেশ করিয়াছিলেন, যখন বসন্তরায় যশোহরে আসিবার পথে সিমুলতলীর চটিতে আশ্রয় লইবেন তখন—”
প্রতাপাদিত্য ভ্রূকুঞ্চিত করিয়া কহিলেন “তখন কি? কথাটা শেষ করিয়াই ফেল!”
মন্ত্রী—“তখন দুই জন পাঠান গিয়া—”
প্রতাপ—“হঁ।”
মন্ত্রী—“তাঁহাকে নিহত করিবে।”
প্রতাপাদিত্য রুষ্ট হইয়া কহিলেন “মন্ত্রী, হঠাৎ তুমি শিশু হইয়াছ না কি? একটা কথা শুনিতে দশটা প্রশ্ন করিতে হয় কেন? কথাটা মুখে আনিতে বুঝি সঙ্কোচ হইতেছে! এখন বোধ করি, তোমার রাজকার্য্যে মনোেযোগ দিবার বয়স গিয়াছে, এখন পরকাল চিন্তার সময় আসিয়াছে। এতদিন অবসর প্রার্থনা কর নাই কেন?”