চলাে আমি তােমাকে দেখিয়ে দিচ্চি! জেল সৃষ্টি হ’য়ে পর্য্যন্ত এতো বড়ো চোর পৃথিবীতে দেখা দেয় নি।
কী ক’রেচি বলো দেখি? জীবন বাবুর নাম সই ক’রে হ্যামিল্টনের দোকান থেকে ঘড়ি এনেচি? পেয়াদা সাহেব, ভদ্রলােক হ’য়ে ভদ্রলােকের নামে ফস্ ক’রে এতো বড়ো অপবাদটা দিলে?
ও কী ও! ওটা ধরে টেনো না! ও আমার ঘড়ি নয়! শেষকালে যদি চেন্মেন্ ছিঁড়ে যায় তা হ’লে আবার মুষ্কিলে প’ড়্তে হবে।
কী! এই সেই হ্যামিল্টনের ঘড়ি? ও বাবা সত্যি নাকি! তা নিয়ে যাও নিয়ে যাও এখনি নিয়ে যাও! কিন্তু ঘড়ির সঙ্গে আমাকে সুদ্ধ টানাে কেন? আমি তো সােনার চেন নই! আমি সােনার অক্ষয় বটে, কিন্তু সে-ও কেবল বাপ মায়ের কাছে।
তা নিতান্তই যদি না ছাড়তে পারো তো চলো। বাবা, আমাকে সবাই ভালােবাসে, আজ তা’র বিস্তর পরিচয় পেয়েছি, এখন তােমার ম্যাজিষ্ট্রেটের ভালােবাসা কোনাে মতে এড়াতে পার্লে এ যাত্রা রক্ষে পাই।
যদি জোটে রােজ
এম্নি বিনিপয়সায় ভােজ!
নূতন অবতার
প্রথম অঙ্ক
নন্দকৃষ্ণ মুখােপাধ্যায়
(স্বগত) তুমি রুদ্দুর বক্শি ব্রাহ্মণের ব্রহ্মোত্তর পুষ্করিণীটি কেড়ে নিয়ে খিড়কির পুকুর ক’রেচো! আচ্ছা দেখা যাবে তুমি ভােগ করো কেমন ক’রে! ঐ পুকুরে দু-বেলা ছত্রিশ জাতকে স্নান করাবো। তবে