ঘেঁটু। ঘেঁটো কী! আমি তােমার বাগানের মালী? বাপের জন্মে এমন অভদ্দর মানুষ তো দেখিনি গা! ঘেঁটো! আমি যদি তােমাকে ইন্দির না ব’লে ইন্দিলে বলি!
মনসা। তা হলেই চিত্তিরে হয়! (দেবীগণের উচ্চহস্য)
ইন্দ্র। (হাস্যে যােগদান করিবার চেষ্টা করিয়া) কুন্দাভদন্তি, বহু তপস্যার দ্বারা স্বর্গলােক লাভ করিয়াছিলাম, কিন্তু কোন্ সুকৃতি ফলে আপনকার সকলের স্মিতদশনময়ূখে স্বর্গলােক অকস্মাৎ অতিমাত্র আলােকিত হইয়া উঠিল এখনো তাহা ধারণা করিতে পারিলাম না!
ঘেঁটু। আরে রাখাে, ওসব বাজে কথা রাখো। তোমার পেয়াদাগুলাে আমাকে সােনার ভাঁড়ে করে কী সব এনে দেয় সে আমি ছুঁতে পারিনে। তােমার শচী গিন্নিকে ব’লে দিয়ো আমার জন্যে রােজ এক থাল গােবরের লাড়ু তৈরি ক’রে পঠিয়ে দেন!
ইন্দ্র। তথাস্তু। স্বর্গে আমাদের কল্পধেনু আছেন। তিনি সকলের সকল কামনাই পূরণ করিয়া থাকেন। বােধ করি আপনার প্রার্থনা পূর্ণ করা তাঁহার পক্ষে দুঃসাধ্য না হইতে পারে?
শীতলা। (চন্দ্রকে এক কোণে গুপ্তপ্রায় দেখিয়া নিকটে গিয়া) মাইরি! তুমি এতাে ছলও জানাে ভাই! আমাকে আচ্ছা ভােগ ভুগিয়েচো যাহােক্! আমি বলি, তুমি বুঝি অন্দর মহলে আছ। ঢুকে দেখি, অশ্লেষা আর মঘা নবাবপুত্রীর মতাে ব’সে আছেন—আমাকে দেখে অবাক্ হ’য়ে রইলেন। আমার সহ্য হ’লো না। আমি ব’ল্লুম, বলি, ও বড়ােমানুষের ঝি, তােমাদের গতর খাটিয়ে খেতে হয় না ব’লে বুঝি দেমাকে মাটিতে পা পড়ে না! যা ব’ল্তে হয় তা ব’লেচি! ধুন্ধুমার বাধিয়ে দিয়ে এসেছি।
চন্দ্র। (জনান্তিকে ইন্দ্রের প্রতি) সপ্তবিংশতির উপর অষ্টবিংশতিতম যােগ হইলে কিরূপ দুর্য্যোগ উপস্থিত হইতে পারে তাহা, হে শচীপতে, সহজেই অনুভব করিতে পারিবেন। (শীতলার প্রতি) অয়ি অনবদ্যে,—