পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se 8 ব্যবসায়ী । কিন্তু জমিদারী বিক্রয় জমিদারের নিতান্ত অসন্ত্রমের কথা, সুতরাং ত্যাহা তিনি করিবেন না, ব্যয়ও কমাইবেন না, কাজেই আস্তে আস্তে জমিদারী মহাজনের ঘরে যাইবে। কিন্তু তখন ঋণ না পাইলে জমিদার তাহার জমিদারীর অল্প অংশ বিক্রয় করিয়া অঋণী হইবেন এবং ভবিষ্যতের জন্য। মিতব্যয়ী হইতে চেষ্টা করিবেন। সুতরাং ইহাদিগকে ঋণ দেওয়া পাপের কাৰ্য। অনেকে বিবাহ, শ্ৰাদ্ধাদি উপলক্ষে ঘন্তয় বাহুল্যের পরামর্শ দিয়া টাকা ধার দেওয়া এবং তাহার বাড়ী, ঘর ও তালুক নিলাম করিয়া নেওয়ার ইচ্ছা করে, ইহা অন্যায় ব্যবসায় । ঋণ করিয়া সম্পত্তি খরিদ করা উচিত নয়। কারণ সুদের হার সম্পত্তির আয়ের হার অপেক্ষা অধিক । অনেককে ঋণ করিয়া সম্পত্তি কিনিয়া সৰ্ব্বস্বান্ত হইতে দেখিয়াছি। তবে যদি এক বৎসর মধ্যে অন্য সম্পত্তির আয় হইতে এই ঋণ শোধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে খরিদ করা যাইতে পারে ভবিষ্যৎ শারীরিক উপার্জনের উপর নির্ভর করিয়া সম্পত্তি ক্রয় নিতান্ত অবিবেচনার কার্য্য ; কারণ মৃত্যুত সঙ্গে সঙ্গেই চলিয়াছে। সস্ত, এবং সুবিধাজনক সম্পত্তির আকর্ষণ এড়াইতে না। পারিয়া অনেক লোক বিপদে পড়েন । জমিদার তালুকদার প্রভৃতিকে টাকা ধার দিতে হইলে এবং তাহাদের সততার বিশেষ সুখ্যাতি না থাকিলে হাণ্ডনেটে না দিয়া বন্ধকী তমসুক নিয়া দেওয়া উচিত, কারণ তাহারা আইন ও আদালত ভাল রকম জানে, নানা রকম। আপত্তি উত্থাপন করিতে চেষ্টা করিতে পারে, এইরূপ আপত্তি করাতে তাহদের সন্ত্রম নষ্ট হইবে না। কিন্তু তাহাদিগকে ধার দিলে একেবারে নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা কম । পীড়িত লোকদের চিকিৎসার জন্য এবং দুৰ্ভিক্ষ প্ৰপীড়িত লোকদিগকে টাকা ধার দেওয়া আবশ্যক, কিন্তু ধার দেওয়ার সময় ইহা ভাবিতে হইবে যে সব টাকা আদায় হইবে না, আদায় না হইলেও অসমর্থ খাতককে