পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o ব্যবসায়ী । কন্যার বিবাহ ইত্যাদি জানাইয়া অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে এবং শিষ্য ংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা করে তাহারা গুরু নামের অযোগ্য। তাহারা ধৰ্ম্মের নাম দিয়া ব্যবসায় করে, এই ব্যবসায়কে অন্য সকল ব্যবসায় অপেক্ষা সৎ বলিয়া বোধ হয় না । কিন্তু এই সকল দােষ সত্বেও অনেক সময় শিষ্যের গুরুপরিবর্তন সুবিধাজনক হয় না। কারণ নূতন সৎগুরু পাওয়া ও চিনিয়া নেওয়া বড় শক্ত। ষে সাধু শিষ্য করে না বা করিলেও শিষ্যের উপকারের জন্য শিষ্য করে তাহার পরামর্শ মতে গুরু করা উচিত । এতদ্ব্যতীত কোন কোন গুরুর চরিত্রদোষ এবং মুখত প্রভৃতিও আছে । সুতরাং বিদ্বান শিষ্যেরা তাহদের নিকট মন্ত্র গ্রহণ করিতে প্ৰস্তুত নহে । কিন্তু তাহারাও প্রায়ই সৎগুরু পাইতেছেন না । তঁহাদের জন্য নূতন রকম গুরুর আবির্ভাব হইয়াছে। এই ব্যবসায়টা বেশ চলিতেছে। সন্ত্রম, প্ৰতিপত্তি, ভোগ এবং লাভও বেশ । এই ব্যবসায়ে বেশী অসততা বা জাল জুয়াচুরি করিতে হয় না, সংস্কৃত শাস্ত্ৰে ভাল অধিকার থাকিলেই ভাল, সামান্য অধিকার থাকিলেও কোন প্রকারে চলে । হটযোগ জানিলে সুবিধা । সেই সঙ্গে ইংরাজি জানিলে বিশেষ সুবিধা । পোষাক, নামকরণ, আহার ও ভাষা ইত্যাদি সন্ন্যাসাদের মত করিয়া থাকেন। হরিদ্বার, হৃষীকেশ বা বদরিকাশ্রমের কোনও সন্ন্যাসীকে গুরু করেন । টাকা কড়ি চাহিতে হয় না। বিশেষ ভক্তদের নিকটে পাথেয় বলিয়া কিছু কিছু নিয়া থাকেন, তাহাতে যথেষ্ট লাভ হয়। পূৰ্ব্বে শিষ্যদের গুরু খুজিয়া নিতে হইত এবং বহু ভ্রমণ ও অন্বেষণের পর গুরু পাইত । এখন ঈঙ্গিত মাত্ৰেই অনেক গুরু পাওয়া যায় । কিন্তু শিক্ষক খুজিলে আগে বেতনের বন্দোবস্ত করিতে হয়। পূৰ্ব্বে গুরুই শিক্ষক ছিলেন ।