পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাণিজ্য । t (খ) বাণিজ্যে সন্ত্ৰম । দুঃখের বিষয় এই যে আমাদের শিক্ষার গুণে কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যকে আমরা অত্যন্ত অবজ্ঞার চক্ষে দেখিয়া থাকি । সমাজ যে বলের সঞ্চার করিতে চাহে, কৃষক ও শিল্পী। সেই বলের উৎপাদক এবং ব্যবসায়ী সেই বলের সহায় ; ইহাদের কাহাকেও অবজ্ঞা করা উচিত নহে । এই তিন শ্রেণীর লোকের প্রাধান্য ও কৰ্ম্মদক্ষতা থাকিলে সমাজ সজীব থাকে, কিন্তু আমাদের দেশে এইক্ষণে বড় কৃষক ও শিল্পী নাই বলিলেও চলে । ব্যবসায়ী অবজ্ঞাত, তাই “নয়ন জলে বিয়ান ভাসে” ; এবং তজ্জন্যই “বাণিজ্য যে করে, তার সত্য কথা নাই” প্রভূতি বাক্য দেশে প্ৰচলিত হইয়াছে। সংবাদ পত্রে এবং সভাস্থলে বক্ত, তার সময় উকিল, ব্যারিষ্টার, হাকিম প্ৰভৃতি সকলের নিকটই ব্যবসায়ের সম্রামের কথা শুনিতে পাওয়া যায়, কিন্তু সে সব কথা যে তাতাদের অন্তঃস্থল হইতে নিৰ্গত হয় না, তাহার প্রমাণ স্বরূপ ইহা বলা যাইতে পারে যে উক্ত বক্তারাই স্ব স্ব পুত্রদের শিক্ষাবিভাগ মনোনয়নের সময় ব্যবসায়ের কথাটা মনে করেন না। আরও দেখা যায় যে উক্ত বক্তা প্রভৃতির নিকটে ১০:০২, বেতনের কৰ্ম্মচারী গেলে তিনি তঁহাদের যেরূপ দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে সমর্থ হয়েন একজন ১০ ০০২ টাকা-আয়ের-ব্যবসায়ী সেরূপ পারেন না। তবে তাহারা শিক্ষিত নহেন বলিয়াও কতকটা অনাদর পাইবার কারণ আছে। বাল্যকালের একটা গল্প মনে পড়িতেছে। আমাদের দেশে লক্ষ্মীপূর্ণিমার রাত্ৰিতে ছেলেরা সং সাজিয়া থাকে, আমি একবার সং সাজিয়াছিলাম, তাহাতে আমার মাতা ঠাকুরাণী আমার প্রতি ক্ৰোধ প্ৰকাশ করিয়া বলেন যে “সং নিজে সাজিতে নাই অন্যকে সাজাইতে হয় ।” আমাদের দেশের বক্তাদের মতও তাই। বন্ধুবান্ধবের ছেলেরা ব্যবসায় করিবে, আর তঁহাদের নিজেদের ছেলেরা হাকিম উকিল 'হইবে। তঁহাদের