পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ । স্বাস্থ্যরক্ষা । । মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যরক্ষা করা আবশ্যক। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য নির্দোষ আমোদ, গান, বাজনা, সুন্দর দৃশ্য দর্শন ; এবং শরীরের জন্য নিয়মিত আহার, নিদ্রা, ভ্রমণ ও বিশুদ্ধ বায়ু সেবন ইত্যাদি আবশ্যক ; কিন্তু যাহারা ঠিক আৰ্য্যধৰ্ম্মানুসারে ব্ৰাহ্ম্য মূহূৰ্ত্তে শয্যাত্যাগ, প্ৰাতঃস্নান, সন্ধ্যা, প্ৰাণায়াম, জপ, বিন্দুধারণ ও শাস্ত্ৰমতে আহারাদি করেন, তাহাদের ব্যায়ামের আবশ্যকতা নাই। বাল্যাবস্থা হইতেই স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়ম পালন করা উচিত ; তাহা না করিলে সমস্তজীবন নানারোগে কষ্ট পাইতে হয়। আমার অনেক বন্ধু ও আমি এই আলম্ভের শাস্তি ভোগ করিতেছি । স্মৃতি শাস্ত্রের নিয়মগুলি স্বাস্থ্যরক্ষার পক্ষে অত্যন্ত প্ৰয়োজনীয়, ধৰ্ম্মের তীব্র শাসনের উল্লেখ থাকায় এবং যুক্তি না থাকায় অনেকে অবিশ্বাস করিয়া সেইগুলি পালন করেন না, অথচ ইউরোপীয় স্বাস্থ্যরক্ষার প্রণালী ও ব্যয়বাহুল্যাদি কারণে গ্ৰহণ করেন না, সুতরাং অমপিত্ত, অজীর্ণ ও বহুমূত্র প্রভৃতি রোগে জড়িত হইয়া, মৃত্যুবৎ কালযাপন করেন। ইহার সত্যতা প্ৰমাণ করিতে হইলে সাধু, সন্ন্যাসী, সুব্রাহ্মণ ও বিধবা প্রভৃতি যাহারা শাস্ত্ৰমতে থাকেন। তঁহাদের স্বাস্থ্য আমাদের মত আচারভ্ৰষ্ট লোকদের স্বাস্থ্যের সহিত তুলনা করিলেই বুঝিতে পারা যায়। কিন্তু যাত্রার দিনের কোনও যুক্তি পাওয়া যায় না। কাৰ্য্যের বড়ই ক্ষতি হয়। পঠদ্দশায় বালকেরা অভিভাবকহীন অবস্থায় থাকিয়া শুধু পড়িতে । থাকে, শরীরের দিকে বিন্দুমাত্রও দৃষ্টি করে না, সুতরাং সংসারে প্রবিষ্ট ।