পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

гу о ব্যবসায়ী । চাকরিটী প্ৰায় একমাস থাকিয়া পরে চলিয়া যায়। কিন্তু সেই সময় হইতে মন্মথের অভ্যাস পরিবর্তন হইয়া গেল, সে আর কোথাও যাইত না । (৩) উপাধিহীন ভদ্রলোকচি ; আজ কাল আমাদের দেশে হাকিম, ব্যারিষ্টার, মোক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, ডাক্তার এবং অধিক বেতনভোগী কেরাণীগণও সম্রােন্ত শ্রেণী বলিয়া গণ্য। ঐ সমস্ত পদ পাইতে হইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় উপাধি প্রাপ্ত হওয়া আবশ্যক। ঐ সমস্ত উপাধি অল্প লোকের ভাগ্যেই ঘটে। তজ্জন্য উক্ত পদসমূহ প্রাপ্ত হওয়া সকলের পক্ষে সম্ভবপর নহে । সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্ত কঠিন পরীক্ষায় যাহারা উত্তীণ হইতে পারে না, সমাজে তাহদের একরূপ স্থান নাই বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । উক্ত পরীক্ষণ সমূহে কৃতকাৰ্য্য তওয়ার গুণ ব্যতীত, মানবের যে অন্য গুণ থাকিতে পারে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি লাভই যে মানব জীবনের একমাত্ৰ লক্ষ্য নহে, তাহা আমাদের ভদ্র সমাজ জ্ঞাত নহেন । হাকিম, উকিলের পদ ব্যতীত সমাজে যে আরও উচ্চ পদসমূহ বৰ্ত্তমান রহিয়াছে, তাহা জ্ঞাত না থাকায় অনেকেই ৫৭ বার একই পরীক্ষণ দিয়া স্বাস্থ্য নষ্ট করিয়া থাকে । (৪) পৰব্ৰীক্ষা পদক্রাতি৷ -ভালরূপ বিদ্যাশিক্ষা করা বৃদ্ধিমান ও মেধাবী লোকের অতি পরিশ্রমসাধ্যকাৰ্য্য, কিন্তু ইহার যাবতীয় শাখা ও বিভাগ শিক্ষা করিবার উপযুক্ত মেধা ও বুদ্ধি সকল বালকের থাকে না । তজ্জন্য পরীক্ষার অন্যান্য বিভাগে বিশেষ বুৎপত্তি থাকা স্বত্বেও কোনও এক বিভাগে কৃতকাৰ্য্য হইতে না পারিলে বালকের ভবিষ্যৎ উন্নতির পথ একবারে রুদ্ধ হইয়া যায়। এই বিষম পরীক্ষা পদ্ধতি উঠিয়া না গেলে বালকদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিশেষ ক্ষতি। যদিও আজকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষগণ পরীক্ষার বিষয় সমূহ নিৰ্বাচনে বালকগণের কথঞ্চিৎ সুবিধা বিধান করিয়া দিয়াছেন, কিন্তু ইতাও বালকগণের পক্ষে সম্পূর্ণ উপযোগী হয় নাই। পরীক্ষার যে কোন এক বিষয় শিক্ষা বালকগণের