পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশ্যোচিত গুণ । 8›፡ হইতে পারে, তাহা যাহার বুদ্ধি যত অধিক সে তত অধিক বুঝিতে পারে। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করিলে এবং অতিরিক্ত মুখস্থ করিলে বুদ্ধিশক্তির হ্রাস হয়। অত্যধিক বুদ্ধিমান লোক প্রায় বড় হইতে পারে না। “অতি বুদ্ধির গলায় দড়ি ; তাহাদের অসীম বুদ্ধি তাহাদিগকে অধীনতা ও বশ্যতা স্বীকার করিতে দেয় না, সকল কাৰ্য্যে তাহদের মন লাগে না, প্রখর বুদ্ধির প্রভাবে উহারা অনেক কাৰ্য্যেই দোষ দেখে, এমন কি গুরুজনেরা কথাও স্বীয় বুদ্ধির প্রতিকূল তইলে, তাহারা ইহা সম্পূর্ণরূপে অগ্ৰাহ করে ; সুতরাং এই প্ৰকার লোকের কার্যাক্ষেত্র সঙ্কীর্ণ হইয়া পড়ে, তএব উন্নতির সম্ভাবনাও অল্প হইয়া যায় ; কিন্তু এই সঙ্কীর্ণ কাৰ্য্যক্ষেত্রেও যদি ভাগ্যক্রমে ইতারা স্বীয় তীক্ষ বুদ্ধির উপযোগী কোন কাৰ্যা পায়, তাহা হইলে উন্নতির চরম শিখরে উপনীত হইতে, পারে । মধ্যবিৎ-বুদ্ধিমান <rfgooyei TSRS; compromising spirit এর হয়, তাহাদের বুদ্ধিও থাকে এবং তাহারা বশ্যতা স্বীকার করিতেও কুষ্ঠিত হয় না ; কাজে কাজেই তাহদের সাংসারিক উন্নতির যথেষ্ট स्रुठन् श८ ।। যদি কোন ব্যক্তির বুদ্ধি অল্প থাকে ও তিনি নিজে ইহা অনুভব করেন তাহা হইলে বিশেষ কোন ক্ষতি নাই ; কারণ ধৈৰ্য্য ও ক্ষমতা থাকিলে সামান্য বুদ্ধির দ্বারাই সংসারে উন্নতি করা যায়। কিন্তু বুদ্ধি না থাকা সত্ত্বেও যদি কেত বুদ্ধিমত্তার অভিমান করেন, তাহা তইলেই অমঙ্গলের আশঙ্কা। অনেকেই নিজকে অন্য সকল অপেক্ষা বেশী বুদ্ধিমান মনে করে, “দেড় আক্কেলী বুদ্ধি” অর্থাৎ তাহার নিজের বুদ্ধিকে ষোল আনা এবং বাকী পৃথিবীশুদ্ধ সকলের বুদ্ধিকে আট আনা মনে, করিয়া থাকে ।