পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী " ماه ও অন্ত একজনের ২২০০২ টাকা পরিশোধ করিতে আমার মনে ইতস্ততঃ ভাব পৰ্যন্ত আসে নাই। কারণ, ঐ সম্বন্ধে আমার সঙ্কল্প পূৰ্ব্ব হইতেই স্থির হইয়া ছিল। মৃত ব্যক্তিদিগের ঐ সমস্ত টাকা তাহাদের উত্তরাধিকারিগণকে ডাকিয়া আনিয়াই ফেরৎ দিয়াছিলাম। ঐ সমস্ত ব্যক্তিরা সকলেই এক্ষণে জীবিত আছেন। তাহাদের নাম-ধাম প্রকাশ করিয়া এবং যে-ভাবে উক্ত টাকা আমার হাতে আসিয়াছিল, তাহার আদ্যোপাস্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া এ পুস্তকের কলেবর বৃদ্ধি করিব না । সমস্ত কথা লিখিতে হইলে আমাকে ৪০০ শত পৃষ্ঠাব্যাপী একখানি আত্মজীবনী লিখিতে হয় । ভ্যাগেই আনন্দক প্রবঞ্চনা বা বিশ্বাসঘাতকতার সাহায্যে উপার্জিত অর্থে সাময়িক উন্নতি হইলেও উহাতে মনের তৃপ্তি নাই। এ সংসারে ত্যাগ ভিন্ন প্রকৃত সুখ-শাস্তি নাই। নিজের মন পবিত্র রাখিয়া চলিলে ভগবান কাহাকেও দুঃখ দেন না, ইহা আমার দৃঢ় ধারণা । মাচুষের প্রকৃতির মধ্যে দেবতা ও অস্থর বর্তমান । আমাদের অস্তুরজগতে সৰ্ব্বদাই এই দেবাম্বরের মহাযুদ্ধ চলিতেছে। এই যুদ্ধে কখনও দেবতার জয়, কখনও বা অস্বরের জয় হইতেছে। দেবতার জয়ে শাস্তি ও পবিত্রত,—অস্বরের জয়ে দুঃখ, দুর্ণাম, কষ্ট, অশান্তি । এই মহাযুদ্ধে যখন দেবতা জয়ী হন, তখনই মানুষের মতুয়ত্বের বিকাশ । মানুষ অবস্থার অধীন, একথা সত্য, কিন্তু মামুষের ভিতরে আবার এমন এক শক্তি আছে, যদ্বারা মাহুষ অবস্থার সহিত সংগ্রাম করিয়া জয়ী হুইতে পারে। যে-পরিমাণে মানুষের ঐ শক্তির বিকাশ হয়, সেই পরিমাণে মানুষ অবস্থার অধীনতা অতিক্রম করিতে সক্ষম হয়। আমি ব্যক্তিগত জীবনে ইহা বহুবার উপলব্ধি করিয়াছি । -