পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} e:S ব্যবসায়ে বাঙালী ডিরেক্টরগণের ক্রটি শেয়ারহোল্ডারগণের টাকা কি ভাবে রক্ষিত হইতেছে, অনেক সময় কোম্পানীর ডিরেক্টরগণ যথোচিত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তাহ দেখেন না। শুধু মিটিংএ উপস্থিত হইয়া নিয়ম রক্ষা করিয়া থাকেন এবং “ফি’ ( Fee) পকেটন্ত করিয়া ঘরে আসেন। আবার কোন কোন ডিরেক্টর বিবাদ করিবার উদ্দেশ্য লইয়াই 'মিটিং এ উপস্থিত হন । বাঙালীর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের সদস্তদের মধ্যে দুই তিনটি দল থাকে। কোম্পানী যাক আর থাকৃ, সেদিকে র্তাহাদের লক্ষ্য থাকে না। দলবিশেষের জয়-পরাজয়ই মুখ্য ব্যাপার হইয়া দাড়ায়। অবশ্য বাঙালীপরিচালিত সমস্ত প্রতিষ্ঠানই যে একই ধরণের তাহা নহে। তবে বেশীর ভাগ প্রতিষ্ঠানেই যে এ জাতীয় অবাঞ্ছিত ব্যাপার ঘটে, তাহ সকলেই স্বীকার করিবেন। বাঙালী কোন লিমিটেড, কোম্পানী খুলিলে তাহার শেয়ার বিক্রয় করা কষ্টসাধ্য। কিন্তু অবাঙালীদের উক্ত লিমিটেড কোম্পানীর শেয়ার পাচ মিনিটের মধ্যেই বিক্রয় হইয় যায়। এমন কি, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের নিৰ্দ্ধারিত মূলধনের অতিরিক্ত শেয়ারও বিক্রয় হইতে দেখা গিয়াছে। সাধারণ প্রতিষ্ঠান-গঠনের ব্যাপারে বাঙালী দেশের লোকের কাছে এমন ভাবেই বিশ্বাস হারাইয়াছে যে, বাঙালীর মধ্যে স্বযোগ্য কৰ্ম্মঠ লোকও যদি কোন প্রতিষ্ঠান-গঠনে উদ্যোগী হন, তাহাও সাধারণ লোকে বিশেষ সন্দেহের চক্ষে দেখিয়া থাকে। বলা বাহুল্য, কতকগুলি লোকের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে আজ সং ও সাধু কৰ্ম্মীদেরও স্থান করিয়া লওয়া শক্ত হইয়াছে। বাঙালী-পরিচালিত লিমিটেড, কোম্পানীগুলি প্রায়ই উকিল, ব্যারিস্টার এবং অবসর-প্রাপ্ত সরকারী কৰ্ম্মচারীর দ্বার। ডিরেক্টর বোর্ড গঠন করিয়া জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করিবার চেষ্টা করে।