পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙালী ও অ-বাঙালীর মধ্যে শ্রেম ও শিক্ষা সন্তায় বিদেশী-শিল্প প্রব্যের আমদানি বন্ধ না হইলে, অল্প মূলধন খাটাইয়া বাংলায় কোন শিল্প-আবিষ্কারে ব্যবসায়ের চেষ্টা করা বৃথা । উহাতে মূলধন নষ্ট হইবে। বেকার থাকা অপেক্ষা বেগার দেওয়া ভাল, এই হিসাবে শ্রমের কোন মূল্য না ধরিয়া ঘরে বসিয়া কোন প্রকার কুটর-শিল্প দ্বারা কিছু উপার্জন ভিন্ন বিদেশী-যন্ত্রচালিত শিল্পের সহিত প্রতিযোগিতা করিয়া অন্য কোন প্রকার শিল্প-ব্যবসায় বর্তমানে চলিতে পারে না। গত ১৯৩৬ সালে খুলনা ও ২৪ পরগণার দুর্ভিক্ষের সময় দরিত্র শ্রেণীর অনেক লোক নোনা মাটি সংগ্ৰহ করিয়া নোনা জলের সহিত জাল দিয়া লবণ তৈয়ারী করিত, উহা ১২, ১০ প্রতিমণ বিক্রয় করিয়া একদিন অন্তর একদিন খাইয়া তাহারা জীবনধারণ করিয়াছিল । তাহাতে তাহাদের দৈনিক /e, loy০ আনার অধিক উপার্জন হইত না । ইহাতে পরিশ্রমের মূল্যও তাহারা পাইত না। কারণ জল জালাইয়া লবণ প্রস্তুত করিতে তাহারা বিনা পয়সার শুষ্ক বঁাশের পাতা, কলার পাতা, খড়, বিচালি প্রভৃতির সাহায্য লইত। কাঠ কিংবা কয়লা খরিদ করিলে খরচ পোষায় না। উছাতে তাহাদের বাচিয়া থাকা ছাড়া শ্রমের আর কোন মূল্য ছিল না। t ♚ीब्यां পল্লী অঞ্চলের বহু বেকার তাস পাশা খেলিয়া, সময় নষ্ট করে ; কিন্তু চীনারা দিনের একটি মুহূৰ্ত্ত সময় নষ্ট করে না। কেহ সাক্ষাৎ ৷ করিতে আসিলে, তাহারা কদাচ হাতের কাজ ফেলিয়া গল্প-গুজব