পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"రి ব্যবসায়ে বাঙালী করে না। তাহাদের কি পুরুষ, কি নারী মৌমাছির মত পরিশ্রমী। · কলিকাতার চীনারা জুতা ও চামড়ার ব্যবসায়ে বৎসরে এককোটী টাকার উপর রোজগার করে। চীনা ছতারগণ এক এক টাকায় একখানি স্বন্দর চেয়ার বিক্রয় করিয়াও বৎসরে কয়েক লক্ষ টাকা উপার্জন করে। চীনাদের অধীনে যে-সকল হিন্দুস্থানী মুচী কাজ করে, তাহারা দৈনিক w•, wy০ আনা রোজ পায়। বাঙালীরা এই সমস্ত কাজ শিক্ষা করিলে দোষ কি ? শ্রমের মৰ্য্যাদণ বিখ্যাত পাদরী উইলিয়াম কেরী সাহেব এক সময়ে চর্শ্বকারের কাজ করিতেন ; নব-রাশিয়ার একচ্ছত্র অধিনেতা জোসেফ ষ্ট্যালিন তাহার দারিত্র্যের দিনে করিতেন মুচীর কাজ। ভারতের ভূতপূৰ্ব্ব বড়লাট লর্ড রিডিং প্রথম যখন ভারতে আসেন, “কেবিন বয়” ( Cabin boy ) হইয়া আসিয়াছিলেন, দ্বিতীয়বারে আসেন ‘ভাইসরয়’ হইয়া। এতদিন অলসভাবে জীবন-যাপনের ফলে বাঙালী অধ্যবসায়হীন ও শ্রমকাতর হইয়া পড়িয়াছে। তদুপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী হইয়া বাঙালী যুবক শ্রমের-মৰ্য্যাদা ভুলিয়াছে—হীন কাজে তাহার অপমান বোধ হয়। কাজের দিক হইতে শিক্ষিত ও অশিক্ষিতের মধ্যে এইভাবে একটা ব্যবধান স্বষ্টি হইয়াছে। অশিক্ষিত বা অল্প-শিক্ষিত ব্যক্তিরা যে কাজ করিতে পারে, শিক্ষিত গ্রাজুয়েটর তাহা পারেন না—উrহাদের সম্মানহানি হয়। মানের দায়ে তাই অনশনকেই তাহারা বরণ করিয়া লন। তথাকথিত হীনবৃত্তি অবলম্বনে যেখানে মাসে ৩০ টাকা রোজগার হয়, সেখানে টেবিলচোরে বসিয়া যদি ১০১ টাকা রোজগার হয় সে চাকুরীতেই ইহারা সম্মান বোধ করেন । আমাদের দেশে একটি কথা আছে,—‘মানের গোড়ায়