পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ల ব্যবসায়ে বাঙালী বর্তী পরিবার পৃথক হইয়া পড়ে। তখন কিন্তু কেহ পরিশ্রমে কাতর হয় না। সকলেই আপন আপন পরিবার প্রতিপালনে স্বাবলম্বী হইতে যত্নবান হয়। পূৰ্ব্বে যৌথ-পরিবার মধ্যে কেহ অর্থ দ্বার, কেহ পরিশ্রম দ্বারা, নিজ নিজ ক্ষমতাকুযায়ী সংসারের সাহায্য করিত ; বর্তমানে সেমনোবৃত্তির অভাব ঘটিয়াছে। কাজেই একান্নবর্তী পরিবার ভাঙ্গিয় যাইতেছে। যাহারা বেকার, বসিয়া খাওয়াই পেশা, তাহারা উহাকে তাহাদের একটি দাবী বলিয়াই মনে করে ; এজন্য তাহার একটুও কৃতজ্ঞ নহে। বরং উপার্জনকারীর দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করিয়া বেড়ায়, অথচ পৃথাগল্প হইলে সংসারের কোন উপায়ক্ষম ব্যক্তির নিকট হইতে সামান্ত কিছু সাহায্য পাইলেও তাহাই উপকার বলিয়া মনে করে। যৌথ-পরিবারের উপায়ক্ষম ব্যক্তিটি যেন ষ্টেসনের কুলী । কোথাও যাতায়াতের সময় বাবুরা কুলীর ঘাড়ে বেডিং, স্কটকেশ' প্রভৃতি সমস্ত বোঝা চাপাইয়া দিয়াও যদি তাহার হাত খালি দেখিতে পান, তাহা হইলে নিজের হাতের ছাতাটি পৰ্য্যস্ত তাহার হাতে তুলিয়া দিয়া শূন্ত হাতে ধমক দিতে দিতে যেমন সঙ্গে সঙ্গে চলে, তেমনি একান্নবর্তী সংসারের উপায়ক্ষম ব্যক্তিটির ঘাড়ে সমস্ত দায়িত্বের বোঝা চাপাইয়া দিয়া, অন্যান্য সকলেই তাহার কোন দোষ-ত্রুট থাক বা না থাক, টিপ্পনী করিতে ছাড়েন না । - বাঙালী শ্রম-বিমুখ, আয়েসী, ও অসাধু হইয়া পড়ায়, বেকার-সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাইতেছে। তাহারা যদি পশ্চিম খোটা ও চীনাদের আদর্শে পরিশ্রম করিয়া নিজের উদরায়ের সংস্থান করিতে না পারে, তবে অনাহারে মৃত্যু ছাড়া বাঙালীর আর গত্যস্তর নাই । অ-বাঙালীর শিক্ষা কলিকাতার জনৈক অ-বাঙালী ব্যবসায়ীর ১২,১৩ বৎসরের একটি