পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$60 ব্যবসায়ে বাঙালী বার ধার লইলে পরিশোধের উপায় থাকে না । কাজেই গরীব, মধ্যবিত্ত: সম্প্রদায় যে ইচ্ছা করিয়া দেনা পরিশোধ করে না তাহা নহে, তাহারা নিরুপায়। আবার গ্রামের মধ্যে অবস্থাপন্ন প্রতিপত্তিশালী কোন লোককে ধার দিলেও, তাগেদা করিতে করিতে দোকানীর পায়ের তলা ক্ষয় হয় । অবশু যাহারা সজ্জন, তাহীদের কথা স্বতন্ত্র । গ্রামের মধ্যে সম্রাস্ত নামধারী লোকের নিকটও সময়মত টাকা আদায় হয় না। তাগেদায় গিয়া জোর করিয়া দু'কথা বলিবারও উপায় নাই। সম্রাস্ত লোকের অসন্ত্রম করা হইলে গ্রামের ছোট-বড় সকলেই দোকানীকে নিন্দা করে, এমন কি, দোকান বয়কট করিতেও কেহ ইতস্ততঃ করে না। তজ্জন্য কথায় বলে,— বড়লোকে দিয়ে ধার, আসতে যেতে নমস্কার। কিন্তু দোকানীর অবস্থার কথা কেহই চিন্তা করে না । দোকানী হয়তো ঐ আদায়ী টাকার দ্বারা তাহার মহাজনের দেনা পরিশোধ করিয়া পুনরায় মাল আনিবে, সে কথা কি কেউ চিস্তা করে ? এই প্রসঙ্গে আমি গ্রামাঞ্চলের জনৈক ব্যবসায়ীর কথ। এইখানে উল্লেখ না করিয়া পারিতেছি না। জনৈক নিম্নশ্রেণীর কায়স্থ গ্রামের মধ্যে ব্যবসায় করিয়া বেশ অবস্থাপন্ন হয় । কিন্তু দশজনের সঙ্গে সমাজে এক পংক্তিতে বসিয়া নিমন্ত্রণ খাওয়ার তাহার ‘সার্টিফিকেট ছিল না। গ্রামের বহু সন্ধান্ত ও অবস্থাপন্ন কুলীন কায়স্থ তাহার দোকানের খরিদার এবং তাহারা সকলেই উক্ত ব্যবসায়ীর নিকট দেনদার। সমাজের কয়েকজন নেতা তখন যুক্তি-পরামর্শ করিয়া, বহু টাকা ব্যয়ে একটি ভোজের ব্যবস্থা করিলেন । পংক্তিতে আসন পাইয়া ব্যবসায়ী ভাবিলেন, তিনি স্বর্গে উঠিতেছেন। এই আনন্মে আত্মহারা হুইয়া টাকার দিকে লক্ষ্য না করিয়া বহু অর্থব্যয়ে তিনি সমাজে সনদ প্রাপ্ত হইলেন। কয়েক দিন পরে ব্যবসায়ীর ব্যবসাতে