পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী S&lr থাকিলেও সরকার সাহায্য প্রার্থনায় কোন ফল দেখা যায় না। এই-ই যেখানে অবস্থা, সরকারী সাহায্যে সেখানে বৈজ্ঞানিকদিগের শিল্পগবেষণার কথ। চিস্তা করা স্বপ্ন মাত্র । ইংলণ্ডের বণিক-সম্প্রদায় ভারতে শিল্প-প্রস্তুতের বিরোধী। ভারতে শিল্প-বাণিজ্যের প্রসার হইলে উক্ত বণিক-সম্প্রদায়ের সমূহ ক্ষতি— একথা ইহার কখনও ভুলেন না। কাজেই ভারতবাসীরা শিল্পবাণিজ্যে উন্নতি লাভ করুক, ইহা কোন বিদেশী বণিক-সম্প্রদায় সমর্থন করিতে পারে না । তা’ও একমাত্র ইংলণ্ডের বণিক-সম্প্রদায় ভারতে ব্যবসা বাণিজ্য চালাইলেও বড় বেশী দুঃখ ছিল না । জাপান, জাৰ্মাণী, আমেরিকা প্রভৃতি পুথিবীর সমস্ত রাজ্যের বণিক-সম্প্রদায় ভারতে ব্যবসা বাণিজ্য চালাইয়া ইহাকে শোষণ করিতে থাকিলে, ইহার অস্তিত্ব বজায় থাকা কখনই সম্ভব নহে। বিদেশী মালের উপর উচ্চহারে শুদ্ধ স্থাপনই শোষণ-নীতি বন্ধের একমাত্র উপায়। কিন্তু সে পন্থা অবলম্বন করিতে গেলে হয়তো শক্তিশালী পররাষ্ট্রগুলিকে সন্তুষ্ট রাখার খাতিরে ইংলণ্ডের আমদানি মালের উপরও শুদ্ধ বৃদ্ধি করিতে হয়। রাজশক্তির সাহায্য ভিন্ন কখনই কোন দেশের শিল্পোন্নতি হয় না। জাপান যে এত দ্রুত শিল্পোন্নতিতে শীর্ষস্থান অধিকার করিয়াছে, তাহার একমাত্র কারণ রাজশক্তির সাহায্য । জাপান আয়তনে বাংলা প্রদেশের মত একটী স্থান হইলেও তথায় ১৩৪৬টী শিল্প-শিক্ষার প্রতিষ্ঠান আছে। ভারত-গবর্ণমেণ্টের সেদিকে আগ্রহ থাকিলে, এতদিন ভারতে শিল্প-বাণিজ্যের যেমন প্রসার হইত, তেমনি দেশে বেকারের সংখ্যাও এত বহুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাইত না । আমাদের বাংলা দেশে যে-সকল সহৃদয় দানশীল ব্যক্তি স্কুল, কলেজ ও দাতব্য চিকিৎসালয়ের সাহায্যকল্পে প্রচুর অর্থ দান করিয়া