পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্তমান শিক্ষায় বাঙালী কোন পথে [ আমার এই পুস্তকে এটি উপসংহার-প্রবন্ধ । ইহার পরে আমি "বিবিধ-ব্যবসায় মামে একটি অধ্যায় সংযোজিত করিয়াছি । সেটি ঠিক প্রবন্ধ নয়, বিবিধ ব্যবসা সম্বন্ধে কতকগুলি জ্ঞাতব্য-বিষয়ের সমষ্টি মাত্র। তাহা পরিশিষ্ট অধ্যায়। ] আমাদের বর্তমান শিক্ষা-পদ্ধতি সম্বন্ধে আমি এই পুস্তকের স্থানে স্থানে আলোচনা করিয়াছি। হয়তো আমার সঙ্গে সকলে একমত হইবেন না, কেহ কেহ হয়তো বলিবেন, আমার মন্তব্য কঠোর ও বিদ্রপাত্মক হইয়াছে। বলিবেন, একটা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়া আমি জিনিসটিকে বিচার করিয়াছি । কাজেই ইহার মন্দটাই আমি দেখিয়াছি, ভালটা দেখি নাই। কিন্তু তাহা মোটেই নয়। শিক্ষার চেয়ে বড় আর কিছু নাই । শিক্ষা কেবল সভ্যতার অঙ্গ নহে, শিক্ষা সভ্যতার স্রষ্টা,—রুপদাতা । শিক্ষা ছাড়া সভ্যতার কল্পনাই করা যায় না । জগতের সকল জাতিই শিক্ষার ভিতর দিয়া উন্নতি লাভ করিয়াছে। বর্তমান $of ozotomata oi ( age of machinery); ইহাও শিক্ষারই দান। শিক্ষা ভিন্ন রাজনীতি, বাণিজ্যনীতি, বিজ্ঞান-চর্চা, কোন কিছুরই উন্নতি সম্ভব নহে। কিন্তু বৰ্ত্তমান শিক্ষা আমাদিগকে কোন পথে লইয়। যাইতেছে, তাহাও তো ভাবিবার বিষয়। ভারতের অন্যান্য প্রদেশের সহিত তুলনা করিলে বাংলা আজ একেবারে নিঃস্ব। পূর্বেই বলিয়াছি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তী-প্রথা থাকায় বাংলার লোকের এক সময়ে সাধারণ ভরণ পোষণের কোন ভাবনা ছিল না, সুতরাং অর্থোপার্জনের জন্য ব্যাকুলতাও ছিল তাহাদের কম। যে দেশে অল্প-বস্ত্রের জন্ত পরিশ্রম করিতে হয় না, সে দেশের