পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধ্যবসায়ে বাঙুলিী פרל নিজ প্রদেশের স্বার্থরক্ষার সতত যত্নবান, আর আমাদের বাংলার শিক্ষিত নেতাগণ নিজ নিজ স্বার্থকে বড় করিতে গিয়া নিজ প্রদেশের স্বার্থকে বলি দিতে কুষ্ঠিত নন, তখন মনে হয়, এও বুঝি আমাদের বর্তমান শিক্ষারই ফল ! অন্তান্ত প্রদেশের লোকের মধ্যে দেখিতে পাই, কোনও সাধারণ প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য তাহাদের আগ্রহের সীমা নাই, আর বাংলার শিক্ষিত-সম্প্রদায় ঐ জাতীয় সাধারণ প্রতিষ্ঠানেও ব্যক্তিগত স্বার্থ, ব্যক্তিগত প্রাধান্ত বজায় রাখিতে সৰ্ব্বদাই সচেষ্ট । আমি শিক্ষিত-সম্প্রদায়ের কথাই বিশেষভাবে বলিতেছি, কারণ এই সকল প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার যাহারা থাকেন, তারা সবই গণ্যমান্ত শিক্ষিত ব্যক্তি। তাহাদের অসাধুতা, অমুদারতা ও স্বার্থ-সৰ্ব্বস্বতার জন্য যখন কোনও প্রতিষ্ঠান নষ্ট হইয়া যায়, তখন লোকে তাহাদিগকেই বা শ্রদ্ধা করিবে কি করিয়া, আর তাহাদের শিক্ষারই বা মূল্য থাকে কোথায় ? আর যে-দেশে শিক্ষিত-সম্প্রদায়ের এই প্রকার আদশ, সে দেশে অশিক্ষিতসম্প্রদায়কে দোষ দিয়া লাভ কি ? অশিক্ষিতেরা তবু ভাল, শিক্ষা পায় নাই বলিয় তাহাদের ভগবানের ভয় আছে, ধৰ্ম্মের ভয় আছে, মৃত্যুর পর স্বৰ্গ-নরকের চিন্তা আছে। অন্যায় করিতে গেলে তাহাদের বিবেক বাধা দেয়, বুক কঁপে। একটা দৃষ্টাস্ত দিয়া কথাটা আরও স্পষ্ট করা যাক। টাকা দেওয়ানেওয়ার ব্যাপারে এদেশে একদিন দলিল-পত্রের প্রয়োজন হইত না । আকাশের চন্দ্ৰ-সূৰ্য্যকে সাক্ষী রাখিয়া টাকা কৰ্জ দেওয়া হইত। সেই দেশে এখন দলিল, রেজেষ্টারী খত, বন্ধকী দলিল, কত কি হইয়াছে ; কিন্তু এ বজ-জাটুনিও টিকে কই ? শিক্ষার প্যাচে সে সব দলিলপত্ৰও উড়িয়া যাইতেছে। বস্তুত: বাংলাদেশের শিক্ষিত-সম্প্রদায় অস্তান্ত ক্ষেত্রে নূতন কিছু আবিষ্কার করিতে না পারিলেও