পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖԵՑ ব্যবসায়ে বাঙালী পৌঁছানো পৰ্য্যন্ত ১৭ জানা পড়ত হয়। কিন্তু কানপুর হইতে ੱਚੀ তেল আমদানি হইলে প্রতিমণ ১৫৭০ টাকায় কলিকাতায় পৌছায় । কাজেই কানপুর হইতে ঢালা তেল আমদানির ফলে বাংলার কলওয়ালারা শোচনীয় অবস্থায় পড়িয়াছে । সমগ্র বাংলার ঘানি-ব্যবসামের অস্তিত্ব বিলোপ করিয়া মাত্র মুষ্টিমেয় কয়েকজন তেলকলওয়ালা ধনী হইতেছিল, হয়তো ইহা সেই লক্ষ লক্ষ ঘানিওয়ালাদিগেরই অভিশাপের প্রতিক্রিয়া । লবণ–এই ব্যবসায়ে বৰ্ত্তমানে লাভ নাই। লবণ খরিদ করিতে হইলে প্ৰতিমণে ১৮১০ গবর্ণমেণ্টকে ‘কাষ্টম শুষ্ক দিতে হয়। লবণের মূল্য প্রতিমণ সাধারণত: ॥• আনা । গ্রেহেম কোং, টারনার মরিশন, আবদুল্লা ভাই, জুম্মাভাই প্রভৃতি ব্যবসায়ীরা লবণের আমদানীকারক । ‘কাষ্টম হাউসে’ শুল্কের টাকা জমা দিয়া এবং উক্ত কোম্পানীদের লবণের মূল্য প্রদান করিয়া জাহাজ হইতে লবণ ওজন লইতে হয় । লবণ-ব্যবসায়ীদের লবণ খরিদ করিতে হয় নগদ টাকায়, কিন্তু বিক্রয় করিতে হয় ধারে । পাইকারী লবণ বিক্রয়ে ১০০ মণে ২১২ টাকার বেশী লাভ হয় না । বাজারদরের হ্রাস-বৃদ্ধি না হইলে এই ব্যবসায়ে লাভ নাই। পূর্ববঙ্গে যে সমস্ত স্থানে নদীর জল লবণাক্ত, সেই অঞ্চলের লোকেরা আবার গরমের সময় নোনা জল জালাইয়া লবণ প্রস্তুত করে । উহা হাটে বাজারে ১২-১০ বিক্রয় হয়। একজন লোক যে পরিমাণ লবণ বহন করিয়া লইতে পরিবে, সেই পরিমাণ লবণ বিক্রয় আইন-বিরুদ্ধ নহে। কিন্তু যান-বাহনে বহন করিয়া বিক্রয় করিলে উহ ‘আইন-বিরুদ্ধ হইবে । পুলিশে ধরিলে উহাতে জরিমানা হয়। ভাল-কলাই—সাধারণতঃ পশ্চিম-অঞ্চল হইতে অ-বাঙালীর ইহা বেশী পরিমাণ আমদানী-করিয়া থাকে। এই সমস্ত ছোলা, মণ্ডরী প্রভৃতি খরিদ করিয়া পূৰ্ব্বে আহিরীটোলা ও তামবাজার অঞ্চলে