পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ৈ বাঙালী $bror দিন দিন এত বৃদ্ধি পাইতেছে যে, বড় দোকান না হইলে খরিদ্ধার সাধারণতঃ প্রবেশ করিতে চায় না । একখানি জামা ও একখানি কাপড় বিক্রয় করিতে হইলেও অন্তত: পক্ষে পঞ্চাশ রকমের জিনিস দেখাইতে না পারিলে খরিদ্ধারের পছন্দ হয় না। উহাতে মালপত্র এত বেশী ঘাটা ঘাটি হইয়া যায় যে, অনেক মাল ‘লাঢ়’ হইয়া বিক্রয় হয় না । এই সমস্ত দোকানের মালিকের কি ভাবে মজুত মালের মূল্য ধরিয়া লাভ-লোকসান হিসাব করেন, তাহ বুঝি না। জাম-কাপড়ের দোকানে কর্মচারী ও সাজ-সরঞ্জামের ব্যয় অত্যন্ত বেশী। মালপত্র চুরি হইবারও যথেষ্ট আশঙ্কা থাকে। কোন প্রকার শৃঙ্খলা রক্ষা করিয়া এই ব্যবসা পরিচালন করা বড়ই কঠিন । এই কাজে সম্পূর্ণ নির্ভর করিতে হয় কৰ্ম্মচারীর উপর। অসং প্রকৃতির কৰ্ম্মচারী যদি খরিদ্ধারের সহিত যোগাযোগে কিছু মাল সরাইয়া দেয়, তাহ ধরিতে পারা শক্ত। বেশী ভিড়ের সময় খরিদার কোন মাল কাপড়ের মধ্যে লুকাইয়া ফেলিলেও অনেক সময় খোজ পাওয়া যায় না । বাঙালীর জাম-কাপড়ের কারবারের সংখ্যা দিন দিন কেবল বাড়াইয়াই চলিয়াছে, ফলে দিন দিন গণেশ উন্টাইতেও নেহাৎ কম দেখা যায় না। সাধারণ লোকের ক্রয়-শক্তি যত কমিয়া যাইতেছে, জাম-কাপড়ের দোকালের সংখ্যা যেন ততই বাড়িয়া চলিয়াছে। এই সমস্ত জাম-কাপড়ের দোকানের দিকে তাকাইলে মনে হয়, বাঙ্গালী যেন ব্যবসার নামে ক্ষেপিয়া গিয়াছে। অ-বাঙালীরা গোটা-কাপড়ের ব্যবসায়ই করে, কাট-কাপড়ের ব্যবসায় করে না । কাটা-কাপড়ের ব্যবসায় এই কলিকাতায় অ-বাঙালীর মধ্যে কয়খানি আছে ? যে ব্যবসায়ে মজুত মালের হিসাব রাখা চলে না, অ-বাঙালীরা এমন বিশৃঙ্খল ব্যবসায়ে কাচ হাত দেয় না। বর্তমান দিনে এই ব্যবসায়ে কাহারও উন্নতি হইতেছে বলিয়া বিশ্বাস করা চলে