পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Slyఫి ব্যবসায়ে বাঙালী না। রিভাকসন সেলের (Reduction sale) নোটিশ দিয়া অঙ্গামূল্যে বিক্রয় করিলেও ইহার ‘টকৃ’ ক্লিয়ার হয় কিনা সন্দেহ । যদি ঠিকমত ইহার হিসাব-নিকাশ করা যায়, তবে দেখা যাইবে যে, মাড়োয়ারীদের হণ্ডির টাকা পরিশোধের মত মালও দোকানে নাই। মালিকের নিজস্ব মূলধন প্রথমেই নষ্ট হইয়া যায়। ইহার পরে মাড়োয়ারীদের নিকট হইতে হুক্তিতে টাকা ধার লইয়া যতদিন সম্ভব কারবার চলে । সৰ্ব্বশেষে কলিকাতার নিলাম-বিক্রেতা ২নং ম্যাকেঞ্জিলাল, হরলালকা কোং কর্তৃক মজুত মাল নীলাম হইতে দেখা যায়। মাড়োয়ারীরা হুণ্ডিতে যেসমস্ত টাকা ধার দেয়, তাহীতে তাহাদের প্রায় লোকসান হয় না। কারণ, উহাদের সহিত প্রথম হুণ্ডির কারবার করিতে হইলে যত টাকা ধার লওয়া হয়, তাহার শতকরা ১০২ হিসাবে “গদী-সেলামী" দিতে হয়। অবশিষ্ট টাকার শতকরা ১৫২ টাকা স্বদের দরুণ অগ্রিম কাটিয়া লইয়া, যাহা প্রাপ্য হয় তাহাই খাতককে প্রদান করে। মোট কথা, পাচ হাজার টাকা ধার লইলে চারি হাজার টাকার বেশী খাতক পায় না। কিন্তু গরজ বড় বালাই, এই প্রকার ধার করা ভিন্ন উপায় নাই। একটা দোকান হইতে যদি ৩৪ বৎসর এইভাবে স্বদের টাকা আদায় হয়, তাহা হইলে মহাজনের আসল টাকা উঠিয়া যায়। পরে 'হরলালকা' কর্তৃক নিলামবিক্রয়ে যাহা পাওয়া যায় তাহাই লাভ ৷ কলিকাতার বাড়ীওয়ালারা আরও হুসিয়ার । তাহারা রোজের ঘর-ভাড়া রোজ আদায় করিয়া থাকেন। স্বতরাং কেহ দোকান বদ্ধ করিলে তাহাদের কোন লোকসান সাই । মাসকাবারী টাকা আদায় করিতে হইলে বিলে এক আনার রেভিনিউ ষ্ট্যাম্প দিতে হয়, দৈনিক ভাড়া আদায় হইলে ঐ ব্যয়টাও নাই । * মুদি দোকান—এই কারবার এক প্রকার মন্দ নহে। যদিও প্রতিযোগিতার দরুণ বাকীতে মাল বিক্রয় করিয়া ইহাতে আর পূৰ্ব্বের