পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী SBe {} মত লা নাই, তথাপি ভাল পল্লী বাছিয়া দোকান করিতে পারিলে, এখনও লাভ হইয়া থাকে। কলিকাতায় মুদি দোকানে সাধারণতঃ চাউল, ডাউল, আটা, ময়দা, তৈল, স্থত চিনি প্রভৃতি এই কয়েকটি জিনিষ রাখিলেই চলে। কিন্তু পল্লী-অঞ্চলে মুদি দোকানে ইহার উপর মশলা, কড়া, বালতি, হেরিকেন প্রভৃতি বিবিধ জিনিষ রাখিতে হয়। কলিকাতায় মুদি-দোকান, খুচরা মশলার দোকান, ষ্টেসনারী দোকান, পৃথক পৃথক ভাবে চালান হয়। পল্লীগ্রামে উক্ত তিন রকমের কারবার একত্রে পরিচালন না করিলে স্থবিধা হয় না। তাহাতে অবশু একটা সুবিধাও আছে । প্রত্যেক জিনিষে কিছু কিছু লাভ হইলে মোটের উপর পোষাইয়া যায়। তবে এক সঙ্গে এতগুলি মালের ব্যবসা চালাইতে হইলে রীতিমত অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক। প্রত্যেকটি মালের খরিদ-দর মুখস্থ করিয়া রাখিতে হইবে, এবং মাল আনিতে যাহা খরচ হইয়াছে, তাহাও উক্ত মালের খরিদ-দরের সহিত একত্রে পড়তা করা আবশ্যক। নতুবা খরিদ্ধার উপস্থিত হইলে, মাল-খরিদ চালান দেখিয়া যদি বিক্রয়-দর বলিতে হয়, বিলম্বের দরুণ খরিদার হয়তো বিরক্ত হইতে পারে। তাছাড়া চতুর খরিদ্ধার দোকানদারের অনভিজ্ঞতার সুযোগ গ্রহণ করিয়া ধাপ্পা দিয়া সস্তায় মাল খরিদ করিতেও চেষ্টা করে। পাশাপাশি দোকানে ঐ সমস্ত মাল কি দরে বিক্রয় হইতেছে, সে সংবাদ রাখিতে হইবে । নচেৎ চতুর খরিদ্ধারের হাতে ঠকিতে হয়। আমার জনৈক বন্ধু চিরকাল সম্পত্তি পরিচালন করিয়া শেষকালে এক মুদিদোকান খুলিয়াছেন। তিনি নিজে ত ব্যবসায়ে একেবারেই অনভিজ্ঞ, তদুপরি কর্মচারী ষে ক'টি রাখিয়াছেন, তাহারাও কিছুই বোঝে না। আমি উাহাকে এই জাতীয় ব্যবসায় করিতে নিষেধ করিয়া মোটামুটি বাধি মালের কাজ করিতে উপদেশ দিই। কিন্তু তাহা তাহার মনঃপূত হইল না, তিনি প্রথমেই প্রতিজ্ঞা করিয়া বসিলেন, “ধারে মাল