পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিবেদন আমি সাহিত্যিক বা লেখক নহি । যশপ্রার্থী হইয়। আমি বই লিখিতে বসি নাই। সুতরাং ‘মন্দ কবিযশ:প্রার্থী গমিস্যামুপহাস্যতাম্ —সে ভয় বা ভাবন। আমার মোটেই নাই । বই লেখা আমার পেশা নয়,—পেশা আমার ব্যবসায়-করা । তবু আমার বই লেখার খেয়াল চাপিল কেন ? একটু ইতিহাস আছে। ‘অল্প-সমস্যা’, ‘বেকার সমস্তা—আজিকার দিনের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বাঙালা-দেশে এ সমস্যা চরমে পৌছিয়াছে। স্কুল-কলেজের কৃতী ছাত্রেরাও বিশ্ব-বিদ্যালয়ের চৌকাঠের বাহিরে আসিয়া চারিদিক অন্ধকার দেখেন । জাতির আশাস্থল যুবকদের মুখের পানে তাকাইলে তো ভরষা করিবার কিছুই থাকে না ! মুখে হাসি নাই, দেহে স্বাস্থ্য নাই, অন্তরে তেজ নাই—ছ্যাক্রা গাড়ীর আধমরা ঘোড়ার মত কোনমতে যেন তাহারা জীবনভার বহন করিয়া চলিয়াছে। মাঝে মাঝে সংবাদপত্রে দেখিতে পাই, দুৰ্ব্বহ জীবনভার আর বহিতে না পারিয়া কেহ কেহ স্বেচ্ছায় জীবনের অবসান পৰ্য্যস্ত ঘটাইতেছেন । একটা জাতির পক্ষে ইহা পরম দুশ্চিস্তার কথা । আচার্য্য পি, সি, রায় বাঙালীজাতির ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আশঙ্কিত হইয়া তাই “অল্প-সমস্যায় বাঙালীর পরাজয়” নাম দিয়া প্রবন্ধ লিখিয়াছেন। র্তাহার সারগর্ভ আলোচনা অনেকেই পাঠ করিয়াছেন, সন্দেহ নাই । আজীবন ব্যবসায়ী হিসাবে এই অখ্যাতনাম গ্রন্থকারও এই সমস্যা নিয়া একটু মাথা ঘামাইয়াছিল। উদ্দেশ্য ছিল, এ বিষয়ে আমার চিন্তার ফল ধারাবাহিক কয়েকটি প্রবন্ধে দৈনিক বা মাসিকের পাতায়