পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী \ു. টাকা মূলধন সংগ্ৰহ করিয়া উক্ত প্রদেশের ঐ সমস্ত সরিষা খরিদ করিয়া অড়িতদার-কোম্পানীকে চালান করেন, এবং জড়িতদারকোম্পানী যদি উক্ত মালের রেল রসিদ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে ঐ সমস্ত ব্যপারীকে পুনরায় মাল খরিদের জন্য টাকা প্রদান করেন, তাহা হইলে উভয় পক্ষই লাভবান হইতে থাকিবে। আড়তদার-কোম্পানী ইচ্ছা করিলে ঐ সমস্ত আমদানি সরিষা নিজের খরিদ করিয়াও মজুত রাখিতে পারেন। পরে উহার বাজার-মূল্য বৃদ্ধি হইলে বিক্রয় করিয়া নিজের লাভবান হইতে পারেন ; কিংবা কমিশন লাভে উহা বিক্রয় করিয়া দিতে পারেন । হাজারীবাগ রোডে প্রত্যেক বুধবার হাটের দিনে হুদূর পল্লী-অঞ্চল হইতে প্রচুর পরিমাণে সরিষা আমদানি হইয়া থাকে। অ-বাঙালী ব্যবসায়ীরা উহা খরিদ করিয়া প্রতি মণে দুই এক আনা লাভ রাখিয়া কলিকাতাস্থ মহাজনদের নিকট বিক্রয় করিয়া দেয়। এই সমস্ত ব্যাপারীদের মূলধন খুব বেশী নহে। উহারা বেলে মাল চালান করিয়া মহাজনকে রেল-রসিদ প্রদান করিলেই টাকা পায় এবং সেই টাকায় পুনরায় মাল খরিদ করে। বাঙালীর ছেলেরা যদি ঐ সকল অঞ্চলে গিয়া ঐ জাতীয় কাজ করিতে পারে এবং আড়তদার-কোম্পানী যদি রেল-রসিদ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই উহাদের টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করেন, তাহা হইলে অল্প মূলধনেও বেশী টাকার খরিদ-বিক্রয় চলিতে পারে। মোটামুটি লাভের একটা অল্পমানিক হিসাৰ দেওয়া যাক। খরিদ দরের উপর যদি প্রতি মণে এক আনা হিসাবেও লাভ থাকে, আর একটা মরশুমে অর্থাৎ ৪le মাসে যদি বিশ হাজার মৃণ সরিষা খরিদ-বিক্রয় হয়—যাহা মোটেই অসম্ভব নয়—তবে ১২৫৭২ টাকা লাভ হইতে পারে। মরশুমের সময় প্রতি মণ সরিষা ৩২, ৩০ টাকা জরে খরিদ করা যায়। এক রেল সরিষা, অর্থাৎ ৩es৩৪০ মণ সরিষা খরিদ