পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী styr কোম্পানী হয়তো বাংলার পল্লী-অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের আমদানী-করা মাল খরিদ-বিক্রয় করিবে। কোন কোম্পানী হয়তো বাংলার শিল্পবাণিজ্যের সাহায্য করিবে এবং কোন কোম্পানী হয়তো পশ্চিম দেশীয় সরিষা, তিসি, কলাই প্রভৃতি মালের কাজ করিবে। এইভাবে ব্যবসার নানা ক্ষেত্র তৈরী করিয়া, উৎসাহ দিয়া ক্রমে ক্রমে যদি বাঙালীর ছেলেদের কাজে লাগান যায়, তবে কিছু দিন পরে প্রতিযোগিতায় হটিয়া গিয়া অ-বাঙালীর ব্যবসায়-কেন্দ্রে বাঙালীকে স্থান ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হইবে। পিছনে যদি একটা পৃষ্ঠপোষক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান থাকে, তবে বাঙালীর ছেলেরা অনেক কাজ করিতে পারিবে, ইহা জোর করিয়াই বলা যায়। যে-সমস্ত জাপানী ও বিলাতী মাল অ-বাঙালীরা ব্যাঙ্কের মারফতে আমদানী করিয়া বাংলার দোকানদারদের নিকট বিক্রয় করে, এইরূপ কোনও প্রতিষ্ঠান যদি বাংলার শিক্ষিত যুবক-সম্প্রদায়কে ঐ সমস্ত কাজে সাহায্য করে, তাহারাও ঐ কাজ করিতে পারে। কথাটা একটু পরিষ্কার করিয়া বলি । জাপানী ও বিলাতী মাল ভারতে আমদানী হয় ব্যাঙ্কের মারফতে। যে-সমস্ত ব্যবসায়ীরা ভারতের বাহিরে মালের অর্ডার দেয়, তাহারা উক্ত মালের মূল্যের শতকরা ১১।১৫২ টাকা ব্যাঙ্কের নিকট জমা রাখিয়া দেয়। বিদেশী ব্যবসায়ীরা উক্ত মাল জাহাজে প্রেরণ করিয়া তাহাদের চালাল ব্যাঙ্কের নিকট প্রেরণ করে। ব্যাঙ্ক ঐ সকল মাল নিজেদের গুদামে মজুত রাখিয়া মাল-সরবরাহকারীকে উহার মূল্য মিটাইয়া দেয়। পরে ঐ ব্যবসায়ীরা ব্যাঙ্কের নিকট যখন ষে-পরিমাণ টাকা জমা দেয়, সেই পরিমাণ মাল ‘ডেলিভারী’ লইয়া বাজারে বিক্রয় করে । আড়তদারী প্রতিষ্ঠানও এইরূপ কাজ হাতে লইয়া যদি বাঙালীকে সাহায্য করিতে অগ্রসর হয়, অবশুই তাহারাও ঐ কাজ করিতে সক্ষম হুইবে এবং স্ব-পরিচালিত হইলে, এই ভাবে যে একটি ব্যাপক ব্যবসাক্ষেত্র গড়িয়া উঠিবে তাহাতে সন্দেহ নাই।