পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী به و ঘরে ধরিয়া রাখিতে পারিবেনা। সে-ক্ষমতাই যদি তাহাদের খাকিত, তবে আজ তাহাদের এত পরিশ্রম-লব্ধ ফসল নামমাত্র মূল্যে, খরিদ করিয়া ধনী মিলওয়ালার এত বেশী লাভ করিতে সক্ষম হইত না । কাজেই মূল্য বৃদ্ধি করিবার জন্য একদিকে পাটের চাষ কতকটা সঙ্কোচ করা (restrict) যেমন দরকার, অপরদিকে ঐ জাতীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান গঠনে পেশাদার খরিদারদের (middlemen) বাধা দেওয়াও দরকার । কাৰ্য্য-প্রণালী পূর্বেই বলিয়াছি, ঐ সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের অতি সামান্ত মূলধন লইয়া কাজ করিতে হইবে, সুতরাং প্রচার-কার্য্যের দ্বারা কৃষক-সম্প্রদায়ের বিশ্বাস উৎপাদন করাই হইবে ইহাদের লক্ষ্য । কারণ চাষীরা যদি এই সকল প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে ও সততায় পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করিয়া তাহাদের হাতে মাল ছাড়িয়া দিতে না পারে, তবে সমস্ত পরিকল্পনা বিফল হইবে। প্রতিষ্ঠানের কৰ্ম্মীদের চাষীদিগকে এই কথাটি ভাল করিয়া বুঝাইয়া দিতে হইবে যে, তাহাদেরই হিতার্থে ঐ সকল প্রতিষ্ঠান। এই জাতীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের উপকারিতা বুঝাইয়া দিয়া যদি কৃষকসম্প্রদায়কে তাহারা আকৃষ্ট করিতে পারেন, তাহা হইলে ক্রমশঃ তাহাদিগকে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার কুরা ষাইতে পারে। আস্তরিক চেষ্টা ও যত্ব থাকিলে এই সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান একদিন মন্ত হইয়া উঠিতে পারে। কৃষক-সম্প্রদায় যখন ইহাদের উপকারিতা বুঝিতে পারিবে, তখন নগদ টাকা না দিয়া জমীর উৎপন্ন ফসল প্রদানেই ইহার শেয়ার লইবে । কৃষক-সম্প্রদায়কে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের অংশীদার করিতে পারিলে ইহার মূলধন বৃদ্ধি পাইবে ও ইহার সত্যিকার উদ্বেগু সিদ্ধ হইবে। এই প্রতিষ্ঠানের হাতে যথেষ্ট মূলধন আসিলে কৃষক-সম্প্রদায় মহাজনের নিকট উচ্চ স্বদে যে-সমস্ত ঋণ গ্রহণ করে, তাহা এই সমস্ত