পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী هوجا ੋ দিতে পরিবে । অনেক স্থলে চাষী-সম্প্রদায় মহাজনের নিকট হইতে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে একমণ ধান লইয়া পৌষ-মাঘ মাসে দেড়গুণ দিবে, এইরূপ চুক্তিতে ঋণ গ্রহণ করিয়া থাকে। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান কিছু ধান গোলাজাত করিয়া ঐ প্রকার ঋণও দিতে পারে। এই জাতীয় পল্পী-প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাজ হইবে—( ১ ) পাটের মরশুমে পাট খরিদ-বিক্রয় ও কৃষক-সম্প্রদায়ের পাট বিক্রয় করিয়া দিয়া প্রতি মণে ৮০–/e হিসাবে কমিশন গ্রহণ ; { ২ ) ধান্ত এবং অন্তান্ত ফসলের মরশুমেও মাল খরিদ করিয়া আgতদার-কোম্পানীর নিকট চালান দিয়া বিক্রয় করা ; (৩) মরশুমে কিছু ধান্য গোলাজাত করিয়া কৃষক-সম্প্রদায়কে চাষের সময় ঋণ প্রদান । ইহাতে বার্ষিক যাহা লাভ হইবে, তাহার অৰ্দ্ধেক টাকা প্রতিষ্ঠানের মূলধন বৃদ্ধির জন্ত মজুত ( reserve ) রাখিতে হইবে । বাকী-অৰ্দ্ধেক কর্তৃপক্ষগণের পারিশ্রমিক ও অংশীদারগণের ডিভিডেও প্রদান করিতে ব্যয় হইবে। এইরূপে বিশ্বস্তভাবে ২৪ বৎসর কাজ করিতে পারিলে প্রতিষ্ঠান দাড়াইয়া যাইবে । কিন্তু যোগ্যতাসম্পন্ন, কৰ্ম্মঠ ও বিশ্বস্ত পরিচালকের তত্ত্বাবধানে যদি পরিচালিত না হয়, তবে এই পরিকল্পনা আকাশ-কুস্থমে পরিণত হইবে এবং ইহার ফল এত বিষময় ও স্বদূর-প্রসারী হইবে যে, এ জাতি হয়তো ব্যবসায়-ক্ষেত্রে আর কোনদিন দাড়াইতেই পরিবে না। বাঙ্গালী যদি তাহার অতিবুদ্ধি ও প্রতারণা-মনোবৃত্তি পরিহার করিতে পারে, তবে এইরূপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কারবারের ভিতর দিয়া জাতি একদিন বড় বড় প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তুলিতে সক্ষম হইবে । কিন্তু পশ্চাতে শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষক আড়তদারী প্রতিষ্ঠান থাকা আবশ্বক।