পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভ্রাতৃবৃন্দের দোষ-ত্রুটির কঠোর সমালোচনা করিয়াছি—তাহাদের বিরুদ্ধে তীব্র মন্তব্য করিতে বাধ্য হইয়াছি,—কিন্তু ইহাও আমার ভালবাসার দাবীতেই করিয়াছি। আমার জনৈক বন্ধু আমাকে বলিয়াছিলেন—“আপনি তো দেখিতেছি শুধু বাঙালীর দোষ-ত্রুটিগুলিই খুজিয়া খুজিয়া বাহির করিয়াছেন ; তাহাদের গুণের দিকটা দেখেন নাই তো ! আপনাকে একদেশদর্শিতার অপরাধে অপরাধী করা যায়।” আমি জবাব দিয়াছিলাম—“দেখুন, দোষ ক্রটি দেখাইবার দাবী একমাত্র বন্ধুরই আছে । দরদ দিয়া যে ভালবাসে, দোয-ত্রুটি সে-ই দেখাইতে পারে। আর গুণের কথা বলিতেছেন ? গুণ কি কখনও চাপ থাকে ?” আমার এই পুস্তক পাঠে যদি স্বদেশবাসী আমার উপর বিরক্ত না হইয়া নিজেদের দোষ-ত্রুটি সংশোধনে জাতির কলঙ্ক ঘুচাইতে চেষ্টা করেন, আমার উদেশ্ব ও শ্রম সার্থক হইবে । ভারতের মধ্যে বোম্বেওয়ালার লিমিটেড, কোম্পানী ব্যবসায়ে শ্রেষ্ঠ আদর্শ। তাহারা বাঙালীর ন্যায় শিক্ষিত না হইলেও, জনসাধারণের টাকায় কি ভাবে ব্যবসায় করিতে হয়, তাহা তাহারা বেশ বুঝে। ইউরোপবাসীরা লিমিটেড, কোম্পানী-গঠনে ব্যবসায় করে। অতিরিক্ত মূলধনের জন্য তাহাদের ব্যবসা শক্তিশালী হয়। বাঙালীরা তাহা পারে না । অনেক ক্ষেত্রেই ম্যানেজিং ডিরেক্টরের স্বার্থপরতায় কিংবা অনভিজ্ঞতায় উহা নষ্ট হইয়া যায়। এই সমস্ত কারণে বাঙালীপরিচালিত কোম্পানীর প্রতি জনসাধারণের বিশ্বাস নষ্ট হইয়াছে। আর সেইজন্যই তাহারা ব্যবসায়-ক্ষেত্রে এত হীন হইয়া আছে । আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ব্যবসায়ে আজ বাঙালী যত অনভিজ্ঞ ও যত পশ্চাতেই থাকুক না কেন এবং তাহাদের মূলধন যত সামান্যই হউক না কেন, যদি তাহারা স্বার্থপরতা, প্রতারণা, আত্ম-প্রাধান্ত ও পাণ্ডিত্য