পাতা:ব্যবসা ও বানিজ্য (সপ্তম বর্ষ).pdf/৮৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুলার কথা তুলার কথা লিখিতে বসিলেই মনে আসে। ভারতের অতীত যুগের সেই গৌরবময়ী স্মৃতি—ষপন ভারতবাসীকে লজ্জা নিবারণ করবার জন্য নিতান্ত নিলজের মত সপ্তসিন্ধুপারে বিদেশী বণিকের মুখাপেক্ষায় চাহিয়া থাকিতে হইত না-এই ভারতবর্ষই তরী বোঝাই করিয়া দেশে দেশে বসু পাঠাইয়া বিদেশের বস্ত্ৰাভাব দূর করিত । বস্তুতঃ ভারতবর্ষ অতি প্ৰাচীন কাল হইতেই বস্ত্ৰশিল্পে জগতে শীর্ষ স্থান অধিকার করিয়াছিল । সুদূর এসিরিয়া, ব্যাবিলনিয়া এবং মিশরের অধিবাসী পৰ্য্যস্ত ভারতীয় বস্ত্ৰ পরিধান করিত । এমন কি, অশেষ ঐশ্বৰ্য্যশালিনী স্বাধীনতার লীলাভূমি প্ৰাচীন রোমক নগরীতেও যে প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় বসু রপ্তানি হইত, তাহার যথেষ্ট ঐতিহাসিক czaţe Piel fiică ঢাকাই মসলীনের কথা কে না শুনিয়াছে ? এত সুন্ম, এত সুন্দর কাপড় এক ভারতবাসী ছাড়া জগতেয় আর কেহই আজ পৰ্য্যন্ত তৈয়ারী করিতে পারিল মা । তাই ইহার খ্যাতি জগৎ জুড়িয়া --তাই ইহা পৃথিবীর অষ্টমাশ্চৰ্য্যের মধ্যে পরিাগণিত। কতদিন হইল যন্ত্ৰষুগ আরম্ভ হইয়াছে। যন্ত্ররাজ বিভূতির মত পাশ্চাত্য জগৎ যন্ত্রবলে কত অসাধ্য সাধন করিল--কিন্তু কৈ ? মানব-শিল্প MLTBLDLDB LLL tOtDuD BBD BBDDB DBDBBBO DDD তৈয়ারী হইল না ? বেশী দিনের কথা মহে-দুই শতাব্দী পূর্বেও অন্যাক্সাস্তেৱ ঘরে ঘৱে চৱৰকার ঘর্ঘৱ শব্দ নিনাদিত R হইত-তঁাতের ঠকঠকানি ছায়া-সুশীতল স্তবন্ধ বনানি মুখরিত করিয়া তুলিত । তখনও ভারতের এই DYK BBD BtHDBSDD BDSJqiqiBDDLD LBLBSBD তাতি এবং জোলাদের তৈয়ারী কাপড়ই এদেশের সমগ্ৰ বস্ত্ৰাভাব দূর করিাত-করিয়াই হাজার হাজার টাকার মাল বিদেশে যাইত । এ’ত কাহিনী বা স্বপ্নের কথা নহে-ইহা খাটি ঐতিহাসিক সত্য । কিন্তু যাক। অতীত স্মৃতির নিস্ফল গৰ্ব্ব করিয়া গভীর ঘুমের আয়োজন করিতে চাহি না । যেমন করিয়াই হউক না কেন, আমাদের সেই গৌরবময় দিন চলিয়া গিয়াছে-এখন গর্ব করিয়া লাভ নাই—অনুশোচনা করিলেও চলিবে না । চেষ্টা করিয়া আবার সেই সুদিন ফিরাইয়া আনিতে হইবে এবং আমাদের মনে হয়, সকলে মিলিয়া চেষ্টা করিলে আবার সেই সুদিন ফিরিযা আসিবে । ফিরিয়া আসিবে-তাকার লক্ষণ দেখা দিয়াছে । মহাত্মা গান্ধীর খদ্দর আন্দোলন দেশের মধ্যে এক অপুর্ব জাগরণের সঞ্চার করিয়াছে। বহু গৃহস্থ চরকা ধরিয়াছে, - ভঁাত চালাইতেছে - এই সময়ে সকলের সহানুভূতি পাইলে, চরকা আবার আপনার হৃতরাজ্য পুনরুদ্ধার করিতে পারে । চরকা ত কোন দিনই নিঃশেষ হইয়া মরিয়া যায় নাই । ইহার মৃদু গুজন কোলাহলময় সংসার হইতে অপসৃত হইয়া, স্তব্ধ গৃহকোণে আশ্ৰয় লইয়াছিল মাত্র । বস্ত্রশিল্পের উন্নতির যুগ চলিয়া গিয়াছে, কিন্তু তাহার ক্ষীণ নিদর্শন আজিও আমরা দেখিতে পাই ।