পাতা:ব্যবস্থা-দর্পণঃ প্রথম খণ্ড.djvu/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যৰস্থ। কারণ ব্যবস্থা কারণ ১৭ স খ,ক ব্যবস্থার নজীর ১৮ সংখ্যক ব্যবস্থার নজীর &R ব্যবস্থা-দৰ্পণং। পত্নীপদ জগত্যপেক্ষায় একবচনে ব্যবহৃত, অতএব— ১৭স্বর্ণ ছুইকিম্বা অধিক স্ত্রী থাকিলে তৎ সকলেরই সমানাধিকার—যেহেতু সবৰ্ণ হও রাতে সকলেরই পত্নীত্ব অাছে * । , ৰিবাদভঙ্গীর্ণবকৰ্ত্ত কহেন—“সবর্ণ দুই ভাৰ্য্যাবিশিষ্ট পতির মৃত্যু হইলে তাঁহার ধনে জ্যেষ্ঠ পত্নীই অধিকারিণী, যেহেতু প্রথম ধৰ্ম্ম পত্নী দ্বিতীয় রতিবৰ্দ্ধানী, এই দক্ষবচনের সহিত, অনেক ভাৰ্য্যা থাকিতে জ্যেষ্ঠার সহিতই ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম করিবে’, এই বিষ্ণবচনের ঐক্য হওয়াতে, এবং জ্যেষ্ঠ্য স্ত্রীই পত্নী ইহী কথিত হওয়াতে পত্নীপদ ধৰ্ম্মপত্নীকেই বুঝায়, অন্য পত্নী বা পত্নীর ভরণপোষণ পাইবার যোগ্য"। এবং কহেন এই উক্তি জীমূতবাহনের মতান্থযায়ী, কিন্তু ইহ অশুদ্ধ, যেহেতু জীমূতবাহন বিভিন্ন বর্ণ স্ত্রীদের মধ্যে সবর্ণীকে জ্যেষ্ঠ পত্নী বলিয়াছেন মাত্র, কিন্তু* সবর্ণ স্ত্রীদের কেহ পত্নী কেহ পত্নী নয় এমত কহেন নাই। যদ্যপি বিষখুবচনে উক্ত হইয়াছে যে সবর্ণ। অনেক ভাৰ্য্য থাকিলে জ্যেষ্ঠীর সহিত ধৰ্ম্মকাৰ্য্য করিবে, তাহতে হানি কি ? কেননা ধৰ্ম্মকাৰ্য্য করণদ্বারা সে ধৰ্ম্ম-পত্নী হয় মাত্র, কিন্তু তাহাতে অন্য পত্নীকে নিরাসপুৰ্ব্বক তাহার দায়াধিকার জন্মে না, যেহেতু প্রত্নীদিগের দায়াধিকার ভৰ্ত্তার পরলৌকিক উপকারমূলক । অতএব ব্রতেস্থিত সকল পত্নীই অবিশেষে ভর্তার ধনে অধিকারিণী। এই ব্যবহার সিদ্ধ এবং প্রচলিত ব্যবস্থা । ১৮ পত্নীগণের মধ্যে কাহারে মৃত্যু হইলে তৎসংক্রান্ত, পতিধনে - বিদ্যমান অপর পত্নীর অধিকার,—যেহেতু পত্নী থাকিতে অন্যের অধিকার নাই । পত্নীত্যেক বচনং জাত্যপেক্ষয, তেন— ১৭ সবর্ণায়াদ্বিত্বে বহুত্বে বা সৰ্ব্বাসাং ভূলোহধিকার—তাসাং সবর্ণবেনপত্নীত্বাৎ •। যত্ত্ব বিবাদভঙ্গীর্ণবকৃতা—“সম্বর্ণ ভাৰ্য্যা-দ্বয়বতে মরণে তদ্ধনে জ্যেষ্ঠ এবাধিকারিণী, যতঃ প্রথম ধৰ্ম্ম পত্নীতু দ্বিতীয় রতি বৰ্দ্ধিনী ইতি দুষ্কবচনেন, সবর্ণ্যস্থ বহীমু ভাৰ্য্যাসু বিদ্যমীনাক্স জ্যেষ্ঠয়ৈব সহ ধৰ্ম্মকাৰ্য্যং কুৰ্য্যাদিতি বিষ্ণুবচনেনচ একবাক্যতয় জ্যেষ্ঠ পত্নীতি বচনেলচ পত্নীপদং ধৰ্ম্ম পত্নীপরম্, ইতরাতু ভরণয়ৈব ” ইত্যুক্তং, এতচ্চ জামুত বাহনমতানুসারীতিবাক্তীকৃতং, তদশুদ্ধং যতো জীমূতবাহনেনবিভিন্ন বর্ণনীং ক্ৰীণাং মধ্যে সবর্ণীয়tএব জ্যেষ্ঠতয়া পত্নীত্বমভিহিতং নতু সবর্ণনাং স্ত্ৰীণাং কস্যশ্চিৎ পত্নীত্বং নিরস্তং । যদ্যপি বিষ্ণবঢ়নেন সবর্ণস্ব বহীযু ভাৰ্য্যাস্থ জ্যেষ্ঠয় সহ ধৰ্ম্ম কাৰ্য্যমুক্তং তত্র কী হানি, যতঃ ধৰ্ম্মকার্যকরণং তস্য ধৰ্ম্ম পত্নীত্বমাত্রমায়াতি নতুনftসাং পত্নীত্বনিরাসেন তস্য দায়াধিকারিত্বং সিদ্ধ্যুতি, যস্মাই পত্নীনাং দায়াধিকারিত্বং ভর্ত ঃ পারলৌকিকোপকারমুলকং । অতএব ত্রতেস্থিত সর্বাঃ পত্নাঃ অবিশেষেণৈব ভৰ্ত্ত ধনাধিকারিণ্যঃ, এইসব ব্যবস্থা ব্যবহারসিদ্ধা, প্রচলিতাচ। ১৮ পত্নীনাং মধ্যে কস্যাশ্চিৎ মরণে তৎসংক্রান্ত ভর্তৃধনে বিদ্যমানায় অপরায়াঃপত্ন্য। এবাধিকারঃ—পত্নী সস্তাবে , অন্যেষামনধিকারাৎ f । । t রামসুন্দর অধিকারী দুই স্ত্রী রাখিয় নিস্সন্তান মরে । তন্মধ্যে এক বিধবা পতির অবিভক্তগৃহ ও ভূমির অদ্ধাংশের নিমিত্তে এই নীলিশ উপস্থিত করে । প্রতিবাদী জওয়াব দাখিল ও তদ্বির করিলেক না । বাদিনী আরজীতে লিখিত গৃহাদির একাংশে অর্থাৎ কলিকাতার অন্তর্গত স্থতান্থটির চারি বিঘা কপ্রক কাঠা (পৈতৃক) ভূমিতে রামসুন্দর অধিকারির হকিয়ং বিনাবাধায় প্রমাণ করিল, এবং আদালতের জজ প্রযুক্ত হাইড্‌ সাহেব ও জোনস সাহেব তাহার অন্ধেকের ডিক্ৰী বৃদিনীকে দিলেন। ভগবতী-বিধবা—বনাম—রাধাকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, স্ব. কে. মন্টি ওর সংগৃহীত হিন্দুল ঘটিত মকদম, পূ: ৩১৪ । e কোন হিন্দু দুই স্ত্রী রাখিয়া নিস্সন্তান মরিলে ঐ দুই বিধবা যাবজ্জীবন তাহীর ধনধধকারিণী হইল, অনন্তর তাহদের একের মৃত্যু হওয়াতে অপর তৎসমুদয় বিষয়ের দাবী করিল। বিচার হইল যে যেসকল বিষয় (তৎপণ্ডিকর্তৃক ) অন্যকে দত্ত হয় নাই শাস্ত্রমতে তৎসমুদয় ঐ জীবিত বিধবা পাইবে (এবং সে মরিলে ঐ বিষয় তৎপতির দায়াদকে অর্শিবে)। শ্ৰীমতী ব্রজেশ্বরী দাস-বনাম-রামমণি দত্ত। ২৬ জুলাই ১৮১৬ সাল। স্ব. কে. ইষ্ট স্ নোটুং , মকদম ৫৪ । , * - • ট্রষ্টব্য—মেকু ঠি, ল, বা ১, সেক ২, পৃ. ১৯। - দ্রষ্টব্য-মেৰু হিল, বা ১, fপ্রন্সিমিন্যারিরিমার্কস্ অর্থাৎ অগ্রসূচনা পৃ. ১২, ১৩ এবং সেক ২, পৃ. ২০, ২১।