পাতা:ব্যানরজী ভায়া.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २> ) ভালের নাম না লিখিলে চলিবে না, সুতরাং গোলমাল হইল বা, একটা কিছু লিখিয়া দেই? দ্বিতীয় শ্রেণীর তাল, আড়াভাল সংজ্ঞক, তাছার বর্ণনা এই, “এমত কতকগুলি ভাল আছে, যাহণদের প্রত্যেক পদমধ্যগত মাত্রার সঙ্খ্যা তিন, যথা একতালা, আড়খেম্টা, খেম্টা, দাদ্ভূরা ইত্যাদি । ইহাদিগেরও চারিট করিয়া পদ, সকল পদই পরম্পর সমান দীর্ঘ। গ্রন্থকার একতালা তালের দুই প্রকারে পদবিভাগ করিয়াছেন, প্রথম প্রকারে কহেন, ইহার চারিট পদ, ও প্রতিপদে তিনটী মাত্রা, তিনটী আঘাত, একটা ফঁক ; দ্বিতীয় প্রকারে কহেন, ইহার তিনটি পদ, প্রতিপদে দুইটী দীর্ঘ বা চারিট হ্রস্ব মাত্রা, এবং ইহার ফাক না থাকায়, ইহাকে একতাল। কহে । স্বরূপতঃ ফাক না থাকা, ইহার একতালা নাম হওয়ার পক্ষে কারণ নহে ; আড়াচৌতাল, ধামারেরও ফাক নাই । একতালা, ছয় মাত্রার তাল ; প্রতিমাত্রা, স্বতন্ত্র, ও আঘাত বিশিষ্ট, এবং সেই কারণেই ইহার নাম একতালা । হিন্দুসঙ্গীত শাস্ত্রে একতালার লক্ষণ এই * দ্রুতমেকং ভবেৎযত্র সৈকতালেভি সঙ্গীভ” । শাস্ত্রে, ইহার নামানুযায়ী এরূপ বর্ণনা থাকিতে, গ্রন্থকার, কেন এরূপ বিত্রত হয়েন ? কখন বা দুই মাত্রার কখন বা তিন মাত্রার পদে বিভাগ করেন । ইহার উত্তরে গ্রন্থকার কহিতে পারেন c কোন নিৰ্ব্বোধ হিন্দু শাস্ত্রের পুস্তক দেখে, তাহারা কি দেখিতে তত সুন্দর । C গ্রন্থকারের তালালোচনা কিরূপ হইয়াছে , তাহার উদাহরণ স্বরূপে, জৎ ভালের আদ্যোপান্ত উদ্ধত করিলাম । “জৎ তালের চরিটা পদ । তাহদের গতি অতি দ্রুত, ঐ চারিটা পদ সমান দীর্ঘ নৰে, তন্মধ্যে প্রথম ও তৃতীয় পদ অপেক্ষাকৃত ৰুস্বও উহাদের প্রত্যেক পদ তিনটা হ্রস্ব মাত্রায় পুর্ণ এবং দ্বিতীয় ও চতুর্থ পদে অপেক্ষাকৃত নীৰ,