পাতা:ব্যানরজী ভায়া.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩১ ) তৎপরে উক্ত হইয়াছে, “আচল ঠাটেও যথার্থ বিকৃত সুরগুলি প্রাপ্ত হওয়া যায় না, কেন না উহাতে কড়ি ও কোমলের ভিন্ন ভিন্ন পর্দা নাই, একটা মুরের কোমলকেই, তাহার অব্যবহিত খাদের কড়ি বলিয়া ব্যবহার করা হয় ” । এ দেশে কোন গায়ক সে ভাবে ব্যবহার করে ? আমরা কখন শুনি নাই, কেহ কোমল-ঋখবকে, কড়ি খরজ বলিয়া অথবা কোমল-গান্ধা •রকে, কড়ি-ঋখব বলিয়া ব্যবহার করে । গ্রন্থকার এ সকল কোথায় পাইলেন ? “কড়ি কোমলের স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র পর্দা সন্নি - বিষ্ট করত ( অর্থাৎ অনুমান করি , খরজ-কড়ি-খরজ-কোমল ঋখব-রিখব-কড়ি-রিখব ইত্যাদি রূপে ) একটি স্বরগ্রাম প্রস্তুভ করিলে উনিশ টুি অন্তরবিশিষ্ট কুডিটি সুরের উৎপত্তি হয় ” । ইহার নাম রাখিলেন “ মাধুরাচালিক স্বরগ্রাম “ । অধুনা এরূপ গ্রামের ব্যবহার প্রায় দৃষ্ট হয় না • পুনর্বার হে প্রায় ! তোমার আশ্রয় গ্রহণ ! এরূপ গ্রামের ব্যবহার, এক্ষণে দৃষ্ট হয় না, এবং আমরা যত দূর জানি, তাহাতে এ দেশে যে কখন ব্যবহার ছিল, তাহারও প্রমাণ পাই না । বিশেষতঃ, গ্রন্থকার এই অধ্যায়ের ৬৫ অঙ্কিত কম্পে পুর্বেই কহিয়াছেন, খরজ মধ্যমের কোমলত্ব, ও গান্ধার নিখাদের কড়িত্ব নাই, তাহা না থাকিলে এক গ্রামের মধ্যে ২ •ট সুর বিভাগ, কিরূপে হয় ? এবং সেরূপে বিভক্ত হইলে, ২২টা শ্রেীতিই বা কোথায় স্থান পায় ? স্ত্রী পুৰুক রূপী শ্রুেতি ও সুরগুলিকে, পরস্পর আলিঙ্গিত অবস্থাপন্ন হইতে হয় । এই গ্রামের বিশেষ ব্যুৎপত্তির কারণ, গ্রন্থকার কছেন, ষষ্ঠ পত্রের চতুর্থ চিত্রে ঐ গ্রামের স্বরলিপি দেখ । গ্রন্থকার যে পথ নির্দেশ করিলেন, তাহার অবলম্বনে আমরা সে গ্রাম প্রাপ্ত হইলাম না । অপরিচিত পধিকের কষ্ট প্রদ, তাছার এরূপ রাখাল রসিকতায়, আমরা নিতান্ত অসন্তুষ্ট হইলাম ।