পাতা:ব্যানরজী ভায়া.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 80 ) পাঠকগণ ! আমরা যথার্থই ক্লান্ত হইয়াছি । কম্বলের লোম বাছিয়া নিরস্ত হওয়া ও এ গ্রন্থের অন্যায় প্রস্তাবের আলোচনা করিয়া নিস্কৃতি পাওয়া তুল্য , অবশেষে, আর কিছুই থাকে না । যাহা. উক্ত হইল তাহাতেই প্রতীত হইবে, যে গ্রন্থকার তাল বিচারণায় যে রূপ, মুর বিচারণাতেও তদপেক্ষা নূ্যন নহেন । অতএব গ্রন্থকারের প্রধান গৰ্ব্বাস্পদ এ অধ্যায়টার সমালোচনায়, আমরা ক্ষান্ত হইলাম । সারি গা ইত্যাদির যে কাণপনিক অঙ্ক নির্দেশ করিয়াছেন, এ অধ্যায়ের সকল প্রস্তাবের, সেই মুল , ইহার সকল আলোচনাই তদন্তৰ্গত, সুতরাং তাহার অযৌক্তিকত প্রদর্শন দ্বারা সকল মত গুলি প্রকারান্তরে খণ্ডিত হইয়াছে ; অতএব অহেতু আর গ্রন্থকারের মনস্তাপ বৃদ্ধি করিবার আবশ্যকতা নাই । নবমাধ্যায় । ” কণ্ঠেও যন্ত্রে স্বর সাধনার নিয়ম | হে পাঠকগণ ! গ্রন্থকারের অন্তঃকক্ষে প্রবিষ্ট হইয়া আমরা গুৰুতর কার্য্যটী নিম্পন্ন করিয়াছি, এক্ষণে নিৰ্য ক্রান্ত হইবার আর অধিক বিলম্ব নাই। অষ্টমটা সৰ্ব্বাপেক্ষা কঠিন, গ্রন্থকার পূর্বেই উপদেশ করিয়াছিলেন, সুতরাং ১ ২ ইত্যাদি ক্রমে নিম্পন্ন করিয়াও, আমরা সন্দিহান ছিলাম, অষ্টমটা আয়ত্ত হয় কি না । বিশেষতঃ তাহার বিপুল কলেবর দেখিয়াও ভীড হইয়াছিলাম, কিন্তু ঈশ্বরেচ্ছায় হে পাঠকগণ ভদধ্যয়গত ফল আপনার অবগত হইয়াছেন । এক্ষণে নবমটার নিকটস্থ হইলাম, এটার শরীরও পীবর বটে কিন্তু ভয় হইতেছে না, কারণ প্রথম সমাগত বাক্যের দ্বারা বোধ হইল ইহাতে নবত্ব নাই, তবে নিশ্চিত বলিতে পারি না, কেন না অন্ধকারে কার্য্য করিতেছি