পাতা:ব্যানরজী ভায়া.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ( १२ ) রাগবৃত্তি লভেজ হইয়া উঠে, কিন্তু বিচারণাশক্তি তখনো তাদৃশ পরিণত হয় না , একারণ সে সময়ে অবিবেক বশতঃ মহা মই আমিষ্টকর কার্য্য ঘটনার সম্ভব। এমন প্রাচীন কেহই নাই যাহাকে স্বীয় যৌবন বৃত্তান্ত স্মরণ করিয়া, অনুতপ্ত হইতে না হয়। একারণ যুবাগণ অন্তরে যে কোন বিষয়ের মীমাংসা অবধারণ করেন, তাহাতে নিঃসন্দিগ্ধ হওয়া উচিত নহে । বাল্যকালে, যে সকল সংস্কার ছিল, এক্ষণে তাহারা কোথায় ? বাল্যের কোমলতার সহিত তাহারা অন্তধ্যান হইয়াছে, যৌবনের সতেজস্কতার সহিত, ইহারও অনেক সংস্কার বিলুপ্ত হইয়া যাইবে । যুদ্ৰাও প্রবীণে, বৰ্ষণ ও শরৎনদীর প্রভেদ, একের প্রাচুর্ঘ্য প্রয়োজনেরও অধিক, কিন্তু পঙ্কিল ; দ্বিতীয় যথেষ্ট প্রচুর, অথচ পরিস্কার । বিশেষতঃ মনুষ্যের বুদ্ধি অপেক্ষ বিদ্যার সীমা অধিক বিস্তীর্ণ ; এমন কোন ব্যক্তি নাই, যে একমাত্র বিদ্যারও পার প্রাপ্ত হইতে পারে । বিবেচনা করিলে বুঝিতে পরিবেন সকল বিদ্যারই আত্ম হইতে পরমাত্মা পৰ্য্যন্ত সীমা বিত্তার । এই সকল কারণ বশত: চিরপ্রচলিত প্রথা নিরাকৃত করিতে আপনি সমর্থ হইয়াছেন ; এরূপ সংস্কারপন্ন হইয়া, এতাদৃশ প্রাগলভ প্রকাশ করা উচিত হয় নাই । সঙ্গীত বিদ্যা যথা নিয়যে দীর্ঘকাল শিক্ষা ককমৃ, যাহা শিখিয়াছেন, সে অবস্তরণিকামাত্র । ঈশ্বররুপায় আপনি দীর্ঘজীবী হইলে পার৭ভ বয়সে, এসকল বাক্যের সারত্ব বুঝিতে পরিবেন । মুখবন্ধে আপৰি লিখিয়াছেন, “সঙ্গীতের প্রধান-উদ্দেশ্য কৰ্ণ পরিতৃপ্ত ও একাগ্রচিত্ত করণ” আপনার এই উক্তি পড়িয়াই বুঝিয়াছিলাম, সঙ্গীতে আপনার ভাদৃশ ব্যুৎপত্তি লাভ হয় নাই । কারণ সঙ্গীতের মহিমা সীমা আরো বিস্তীর্ণ। অামাদিগের শস্ত্রে দেবতারা- , ধন ও সমাধি সিদ্ধি সঙ্গীতের প্রয়োজন রূপে উক্ত হইয়াছে, সঙ্গীক্ত হইতে, কিরূপে সমাধি সিদ্ধি নিম্পন্ন হয়, তাহা এস্থলে