পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ব্রজবিলাস

স্ত্রিয়াশ্চরিত্রং পুরুষ ভাগ্যং
দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ।

স্ত্রীলোকের চরিত্র ও পুরুষের ভাগ্যের কথা দেবতারা জানেন না, মানুষে কেমন করিয়া জানিবে।

 ইতি পূর্বে বলিয়াছি, আমার পরিচয় শুনিলে, আপনাৱা চমকিয়া উঠিবেন। কিন্তু, অন্যমনস্ক হইয়া, এ পর্যন্ত আত্মপরিচয় দিতে পারি নাই। এজন্য, যদিও আপনার, সাহস করিয়া, মুখ ফুটিয়া বলিতে না পারুন, মনে মনে বিরক্ত হইতেছেন, তাহার সন্দেহ নাই। বোধ করি, পরিচয় দিতে বিলম্ব করা আর, কোনও মতে, উচিত হইতেছে না। যেরূপ দেখিতেছি, তাহাতে, আমি কে, ও কি ধরপের জানোয়ার, তাহা জানিবার জন্য, আপনারা ছটফট করিতেছেন। যদি বলেন, তবে পরিচয় দিতে এত বিলম্ব ও আড়ম্বর করিতেছ কেন। তাহার কারণ এই, পরিচয় দিলেই, ভুর ভাঙিয়া যাইবে; তাহা অপেক্ষা, চালাকি ও গোলমাল করিয়া, যত ক্ষণ আপনাদিগকে ফাঁকি দিতে পারি, সেই লাভ, সেই বাহাদুরি। যদি বলেন, লোককে ফাঁকি দেওয়া কি ভদ্রের কর্ম। এ বিষয়ে বক্তব্য এই, আপনারা ভদ্র কাহাকে বলেন, তাহা আমি জানি না। অভিধানে ভদ্র শব্দের যে অর্থ শিখিয়াছিলাম, সে অর্থের ভদ্র শব্দে নির্দেশ করিতে পারা যায়, এরূপ লোক দেখিতে পাই না। তবে

যদদারতি শ্রেষ্ঠগুদেবেতনরা জনঃ।
ইতর লোকে ভদ্র লোকের দৃষ্টান্তের অনুবর্তী হইয়া চলিয়া থাকে।