পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম উল্লাস।

এই ব্যবস্থা অনুসারে, আমরা, শ্রীমান্ নদিয়ার চাঁদ বিদ্যারত্ন খুড় প্রভৃতি, এ কালের ভদ্রশব্দবাচ্য, মহাপুরুষদিগের দৃষ্টান্ত অনুসারে, চলিতে শিখিতেছি। কিছু কাল অভ্যাস করিলে, হয় ত, ব্যুৎপত্তিবলে, তাঁহাদের ঘাড়ে চড়িয়া বসিব। ইহার পর, আর তাঁহারা আমাদের কাছে কলিকা পাইবেন না।

বাঁশের চেয়ে কন‍্চি দড়।
শিষ্যবিদ্যা গরীয়সী॥

 আমি বড় মজার লোক, বাজে গোল করিয়া, মিছা সময় নষ্ট করিতেছি। পরিচয় দিতে আর বিলম্ব করা, বোধ হয়, ভাল দেখাইতেছে না। পাঠক মহাশয়েরা শুনুন আমি কে। শুনিয়া কিন্তু, আপনারা অবাক হইবেন,

আমি উপযুক্ত ভাইপো।

কেমন, এখন, আমি কে, চিনিলেন। যদি কেহ বলেন, চিনিতে পারিলাম না; তাঁর বাপ নির্ব্বংশ হউক। কি পাপ! কি বালাই! কি বিড়ম্বনা! অনায়াসে, আমার পরম রমণীয় প্রফুল্ল মুখকমল হইতে, অতি বিষম অতিসম্পাতবাক্য বিনির্গত হইল। অথবা, সে জন্যে ভাবনাই বা কি; কলিকালে ত অভিসম্পাত ফলে না; যদি ফলিত, রক্ষা থাকিত না। বিদ্যভুড়ভুড়ি বিদ্যাবাগীশ খুড় মহাশয়েরা, কথায় কথায়, অভিসম্পাত দিয়া থাকেন। তাহাতে, এ পর্যন্ত, কার কি হয়েছে। চুলায় যাউক, আর বাজে কথায় কাজ নাই।