পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় উল্লাস।

স্ত্রীর গর্ভজাত দুই পুত্র, দুই দুই পুত্র রাখিয়া, পিতার জীবদ্দশায়, প্রাণত্যাগ করিয়াছেন। এক পুত্রের দুটি ঔরশ পুত্র, এক পুরে দুটি দত্তক পুত্র। ঔরস পৌত্রের উপনয়ন হয় নাই, দত্তক পৌত্রের উপনয়ন হইয়াছে। প্রাণনাথ বাবুর শ্রাদ্ধ কে করিবেন, এ কথা উপস্থিত হইল, তাঁহাদের গুরুদেব প্রসিদ্ধ পণ্ডিত জানকীজীবন ন্যায়রত্ন ব্যবস্থা দেন, উপনীত দত্তক পৌত্র শ্রাদ্ধ করিবেন। তদনুসারে, দত্তক পৌত্র, চতুর্থ দিবসে, প্রাণনাথ বাবুর শ্রাদ্ধ করিলেন। শ্রাদ্ধসভায়, অনেক বড় বড় বিদ্যাবাগীশ খুড়, উপস্থিত থাকিয়া, কার্য্য সম্পন্ন করেন, এবং, এই অন্ধ শাস্ত্রের বিধি অনুসারে অনুষ্ঠিত হইল, এই মর্ম্মের এক ব্যবস্থাপত্রে স্ব স্ব নাম স্বাক্ষর করিয়া, বিদায় লইয়া চলিয়া গেলেন।

 অনুপনীত পৌত্রের পিতামহী, সপত্নীর পৌত্র শ্রাদ্ধ করিল, তাঁহার পৌত্র শ্রাদ্ধ করিতে পাইল না, ইহাতে অতিশয় অসন্তুষ্ট হইলেন, এবং দত্তক পৌত্রের কৃত শ্রাদ্ধ শাস্ত্রসিদ্ধ হয় নাই, ইহা প্রমাণ দ্বারা প্রতিপন্ন করিবার নিমিত্ত, বড় বড় বিদ্যাবাগীশ খুড়দিগকে ডাকাইলেন। ইহা কাহারও অবিদিত নাই বিদ্যাবাগীশ খুড় মহাশয়েরা ব্যবস্থা বিষয়ে কল্পতরু। কল্পতরুর নিকটে যে যাহা প্রার্থনা করে, সে তৎক্ষণাৎ তা প্রাপ্ত হয়। সেইরূপ, বিদ্যাবাগীশ খুড়দের নিকটে যে যেরূপ ব্যবস্থা চায়, সে তাহা পায়, কেহ কখনও বঞ্চিত হয় না। তবে একটু বিশেষ এই, কষ্পতরুর নিকট তৈলবট দাখিল করিতে