পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
ব্রজবিলাস।

হয় না; বিদ্যাবাগীশ খুড়রা, বিমা তৈলবটে, কাহারও উপর নেক নজর করেন না। যাহা হউক, তাঁহাদের দয়াগুণে ও উপদেশবলে, একাদশ দিবসে, পুনরায় প্রাণনাথ বাবুর শান্ধ হইল। অনেকের ভাগ্যে একটা শ্রদ্ধই জুটিয়া উঠে না; প্রাণনাথ বাবুর কি সৌভাগ্য, তিনি অনায়াসে, উপর্য্যুপরি, দুইটা শ্রাদ্ধ ভোগ করিলেন। এই শ্রাদ্ধসভাতেও, বড় বড় বিদ্যাবাগীশ খুড় মহাশয়েরা, উপস্থিত থাকিয়া, কার্য শেষ করিয়া, বিদায় লইয়া চলিয়া গেলেন।

 শ্রদ্ধের পরেই, প্রাণনাথ বাবুর সমস্ত বিষয় চব্বিশ পরগণার কালেক্টর সাহেবের হস্তে গেল। দুই শ্রাদ্ধই, বাজারে দেনা করিয়া, সম্পাদিত হইয়াছিল; এজন্য, উভয় পক্ষকেই, শ্রাদ্ধের খরচের জন্য, কালেক্টর সাহেবকে জানাইতে হইল। তিনি কহিলেন, এক বাটীতে এক ব্যক্তির দুই শ্রাদ্ধ কেন হইল, ইহার কারণ না জানাইলে, তিনি টাকা দিতে পারিবেন না। দত্তকপক্ষীয়েরা, বিদ্যাসাগরের নিকটে গিয়া, যাহাতে তাঁহারা টাকা পান, তাহার উপায় করিয়া দিতে বলিলেন। বিদ্যাসাগর, সবিশেষ সমস্ত অবগত হইয়া, কহিলেন, আপনাদের টাকা পাইবার কোনও প্রতিবন্ধক দেখিতেছি না। আপনারা যথাশাস্ত্র কার্য্য করিয়াছেন। আপনারা কালেক্টর সাহেবকে জানাইবেন, গুরুদেব জানকীজীবন ন্যায়রত্ন আদেশ করিয়াছিলেন; তদনুসারে, আপনারা চতুর্থ দিবসে শ্রাদ্ধ কার্য্য সম্পন্ন করিয়াছেন। ইহাতেও যদি তিনি ওজর করেন, আমায় বলিবেন, আমি উপায় করিয়া দিব। তাঁহারা,