পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
ব্রজবিলাস।

কালে ক্কিং বা ন দৃশ্যতে।
কালে কি বা না দেখা যায়।

 যাহা হউক, এই প্রশংসনীয় দেশের অতি প্রশংসনীয় সাধুসমাজের অভিমত, নিরতিশয় প্রশংসনীয়, নির্মল, সনাতন ধর্ম্মের অপার মহিমা!!! বোধ করি, এমন নিরেট, টনটনিয়া, নিখিরকিচ ধর্ম্ম ভুমণ্ডলে আর নাই। ইঁহার ক্ষমাগুণ ও হজমশক্তি অতি অদ্ভুত। ইনি অপেয়পান, অভক্ষ্যভক্ষণ, অগম্যাগমন. প্রভৃতি অনায়াসে ক্ষমা করিতেছেন, হজম করিতেছেন। এইরূপ অদ্ভূতক্ষমতাশালী হইয়াও, কি কারণে ঠিক বলিতে পারি না, কেবল একটি অকিঞ্চিৎকর বিষয়ে, অর্থাৎ বিধবাবিবাহে, ইনি কিঞ্চিত অংশে দুর্ব্বলতা ও অক্ষমতা দেখাইতেছেন। ইহাতে কেহ কেহ বলিতে পারেন, সাধুসমাজের অভিমত নির্ম্মল সনাতন ধৰ্ম লোক ভাল, তার সন্দেহ নাই। কিন্তু, তিনি বড় পক্ষপাতী; পুরুষজাতির উপর, তিনি যত সদয়, স্ত্রীজাতির উপর, তিনি তত সদয় নহেন। আমার বিবেচনায় কিন্তু, তাঁহার উপর এ অপবাদ প্রবর্ত্তিত হইতে পারে না। কারণ, তিনি স্ত্রীজাতির উপরেও বেয়াড়া সদয়। দিব্য চক্ষে ঘর ঘর দেখিয়া লও, তিনি স্ত্রীজাতির ব্যভিচার, ভ্রূণহত্যা, বেশ্যাবৃত্তি অবলম্বন প্রভূতি, অকাতরে, বিনা ওজরে, ক্ষমা করিতেছেন, হজম করিতেছেন। তবে, তাহাদের পুনর্ব্বার বিয়ে, যে যৎকিঞ্চিৎ গোলযোগ করিতেছে, তাহা, ধরাধরি করিতে গেলে, একপ্রকার দোষের কথা বটে। আমি কিন্তু, এই সামান্য দোষ ধরিয়া, তাঁহার উপর