পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ উল্লাস
২৭

অর্জ্জুনস্যাত্মজঃ শ্রীমানিরাবান্নাম বীর্য্যবান্
সুতায়াং নাগরাজদ্র জাতঃ পার্থেন ধীমতা।
ঐরাবতেন সা দত্তা হনপত্যা মহাত্মনা।
পত্যৌ হতে সুপর্ণেন কৃপণা দীনচেতনা[১]

নাগরাজের কন্যাতে অর্জ্জুনের, ইরাবান্ নামে, এক শ্রীমান্, বীর্য্যবান পুত্র জন্মে। সুপর্ণ কর্ত্তৃক ঐ কন্যার পতি হত হইলে, নাগরাজ মহাত্মা ঐরাবত সেই দুঃখিতা, বিষণ্ণা, পুত্রহীনা কন্যা অর্জ্জুনকে দান করেন।

 এক্ষণে, সর্ব্বপ্রধান সমাজের সর্ব্বপ্রধান স্মার্ত্ত শ্রীমান বিদ্যারত্ন খুড় মহাশয়ের নিকট প্রশ্ন এই, বিবাহিতা কন্যার পুনর্ব্বার আর দান হইতে পারে না, তাঁহার এই সিদ্ধান্তের সহিত, কাত্যায়নবচনের ও পঞ্চম বেদ মহাভারতের বিরোধ ঘটিতেছে কি না; এবং ব্যবস্থা দিবার সময় বচন ফচন দেখা যায় না, তিনি পূর্ব্বে, অতি প্রশংসনীয় কমনীয় সাধুভাষায়, এই যে কবুল দিয়াছেন, এই সিদ্ধান্ত উহার একটি অকাট্য নজির খাড়া হইতেছে কি না।

দ্বিতীয় প্রশ্ন।

 খুড় মহাশয় বিবাহের যে লক্ষণ নির্দ্ধারিত করিয়াছেন, তাহাও, আমাদের স্থূল বুদ্ধিতে, সঙ্গত বলিয়া বোধ হইতেছে না। যথা,

বিহিতদানোত্তরগ্রহণস্যৈব বিবাহপদার্থত্বাৎ।

যথাবিধি দানের পর যে গ্রহণ, তাহাই বিবাহশব্দবাচ্য।

অর্থাৎ, বিধি পূর্ব্বক কন্যার দান, ও সেই দানের পর, বিধি পূর্ব্বক কন্যার যে গ্রহণ, তাহাকেই বিবাহ বলে।


  1. মহাভারত। ভীষ্মপর্ব্ব। ৯১ অধ্যায়।