পাতা:ব্রজবিলাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
ব্রজবিলাস

স্থির হইলে, অথবা পতিত হইলে, স্ত্রীদিগের পুনর্ব্বর বিৰাহ শাস্ত্রবিহিত। স্বামী অনুদ্দেশ হইলে, ব্রাহ্মণজাতীয়া স্ত্রী আট বৎসর প্রতীক্ষা করিবে। যদি সন্তান না হইয়া থাকে, তবে চারি বৎসর; তৎপরে বিবাহ করিবেক। ক্ষত্রিয়জাতীয় স্ত্রী ছয় বৎসর প্রতীক্ষা করিবেক। যদি সন্তান না হইয়া থাকে, তবে তিন বৎসর। বৈশ্যজাতীয় স্ত্রী, যদি সন্তান না হইয়া থাকে, চারি বৎসর, নতুবা দুই বৎসর। শূদ্রজাতীয়া স্ত্রীর প্রতীক্ষার কালনিয়ম নাই। অনুদ্দেশ হইলেও, যদি জীবিত আছে বলিয়া শুনিতে পাওয়া যায়, তাহা হইলে পূর্ব্বোক্ত কালের দ্বিগুণ কাল প্রতীক্ষা করিবেক। কোনও সংবাদ না পাইলে, পূর্ব্বোক্ত কাল নিয়ম। প্রজাপতি ব্রহ্মার এই মত। অতএব, এই কয় স্থলে, স্ত্রীদিগের পুনর্ব্বার বিবাহ দোষবহ নহে।

নারদসংহিতার এই অংশ খুড় মহাশয়ের দিব্য চক্ষুর গোছর হইলে, তিনি, নষ্টে মৃতে প্রব্রজিতে, এই বচন বাগ্দত্তাবিষয়ক বলিয়া, অভ্রান্ত, অকাট্য সিদ্ধান্ত করিতে অগ্রসর হইতেন, এরূপ বোধ হয় না। কারণ, যদি এই বচন বাগ্দত্তাবিষয়ক হইত, তাহা হইলে, অনুদ্দেশ স্থলে, সন্তান হইলে এক প্রকার কালনিয়ম, সন্তান না হইলে আর এক প্রকার কালনিয়ম, কিরূপে সঙ্গত হইতে পারে। অতএব, খুড় মহাশয়ের নিকট প্রশ্ন এই পরাশরবচন বাগদত্তা বিষয়ে ব্যবস্থাপিত হইলে, নারদসংহিতার সহিত বিরোধ ঘটে কি না।

চতুর্থ প্রশ্ন।

 শ্রীমান্ বিদ্যারত্ন খুড়র নিকট আর একটি প্রশ্ন এই; যে ব্যক্তিকে কন্যার বাগ্দান করা যায়, সে সগোত্র, চিররোগী, যথেচ্ছাচারী, অন্যজাতীয় প্রভৃতি স্থির হইলে,